কার পরিস্থিতি কখন বদলে যাবে, তার কোনও ঠিক নেই। রাজনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ধ্রুব সত্য এটিই। সেটা আরও একবার প্রমাণ হল ইমরান খানের বর্তমান অবস্থায়। যে ইমরান খান একসময়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই তাঁরই দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) এবার নির্বাচনে রেজিস্টার্ড দলের তালিকাতেই স্থান পায়নি। ফলে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেল PTI। এর আগে পিটিআই-এর নির্বাচনী প্রতীক 'বল্লা'(ব্যাট) রদ করে দিয়েছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ফলে পরপর দুইটি বড় পদক্ষেপের পর এখন কার্যত নেতৃত্বহীন পিটিআই। খাতায়কলমে এখন আর PTI ইমরান খানের দল নয়। ফলে পিটিআই নেতারা নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না, তাই নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ পেরিয়ে গিয়েছে। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান পাঞ্জাব প্রদেশে নিজের নির্বাচনী এলাকা মিয়ানওয়ালি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ইমরান নিজে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। চলতি বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে দোষী সব্যস্ত করে আদালত। হাইকোর্টের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন ইমরান। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট ইমরানকে জামিন দেয়। কিন্তু অন্য দু'টি কেসে গ্রেফতার হওয়ার কারণে তিনি বের হতে পারেননি।
পাকিস্তানে মোট ১৭৫টি রেজিস্টার্ড দল
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষ। আপাতত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র ঝাড়াই-বাছাই করা হবে। তার আগে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত রেজিস্টার্ড দলগুলির তালিকা থেকে ইমরান খানের দল পিটিআই-এর নাম বাদ পড়েছে। এদিকে সেই তালিকায় ১৭৫টি দলের নাম রয়েছে। এই সব দলগুলি রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক পার্টি হিসেবে সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু সেই রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দলের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল স্থান পায়নি।
গত ২২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল জানায়, পিটিআই তাদের দলের সংবিধান মেনে আভ্যন্তরীণ নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণে তাদের নির্বাচনী প্রতীক 'ব্যাট' রদ করে নির্বাচন কমিশন। দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়। ইমরানের জায়গায় দলের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া গোহর আলি খানও দলের প্রধানের পদ ছেড়ে দেন।