সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করার সিদ্ধান্ত নেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মূলত ইউরোপাকে এক্সপ্লোর করার জন্যই এই প্রদক্ষিণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ইউরোপা হল বৃহস্পতির চারিদিকে থাকা বিশেষ এক চাঁদ, যার মোটা চাদরের নিচে নোনা মহাসমুদ্র রয়েছে বলে মনে করা হয়।
কিছুদিন পর এই বিষয়ে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী বিজ্ঞানীর এখন এই তুষারাবৃত দুনিয়ার আসল রঙের বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সেখানে বাসযোগ্যতার জন্য জীবন এবং অন্যান্য অবস্থার লক্ষণগুলি খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী৷ বিজ্ঞানীরা এখনও পর্যন্ত যা জানতে পেরেছেন সেই অনুযায়ী, এর ভূখণ্ডটি এবড়োখেবড়ো বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে গর্ত, খাদ এবং অসংখ্য উজ্জ্বল এবং অন্ধকার পর্বতমালা ভাঙা পৃষ্ঠ জুড়ে প্রসারিত, যা টেকটোনিক চাপকে প্রকাশ করছে।
জুনো ক্যাম ২৯ সেপ্টেম্বর ইউরোপার ৪টি ছবি তুলেছে। সেগুলি প্রসেসও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নবনীথ কৃষ্ণানের দ্বারা প্রসেসড ছবিতে গর্তগুলিকে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ফার্নান্দো গার্সিয়া নাভারো একটি ছবি প্রসেস করেছেন। সেই ছবিটির ওপরে আগে কাজ করছিলেন নাগরিক বিজ্ঞানী কেভিন এম. গিল।
প্রতি সেকেন্ডে ২৩.৬ কিলোমিটার গতিতে ওড়ার সময় ইউরোপার চারপাশে থাকা ডেটা কয়েক মিনিটের মধ্যে সংগ্রহ করেছে জুনো। এছাড়া চাঁদের মহাকর্ষীয় টানের সুবিধা নিতে ফ্লাইবাই ব্যবহার করেছিল নাসা, যা জুনোর গতিপথ পরিবর্তন করে বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করার সময় ৪৩ থেকে ৩৮ দিনে কমিয়ে আনে। এই বিষয়ে নাসা জানাচ্ছে, ইউরোপের চারপাশের পর্যবেক্ষণগুলি ভবিষ্যতের জোভিয়ান মুন মিশনের পরিপূরক হবে।
আরও পড়ুন - হারিয়ে গিয়েছে ক্যাপ-বন্দুক, স্মার্টফোন-সেলফিতে মজে আজকের কচিকাঁচারা