Advertisement

Lebanon Pager Blast: পেজার ফাটিয়েই লেবাননে লাশের স্তূপ, আপনার পকেটের মোবাইলেও এরকম সম্ভব? জানুন

মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার লড়াইয়ে এক নতুন দিক যুক্ত হয়েছে। আর অস্ত্র বা রকেট নয়, এবার পকেটের মধ্যে ঘুরছে বিস্ফোরক। যেকোনো সময়ে দুমদাম করে ফাটছে পেজার। এই বিস্ফোরণের ফলে কারোর প্রাণ যাচ্ছে, কেউ হাত-পা খোয়াচ্ছেন।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 18 Sep 2024,
  • अपडेटेड 11:26 AM IST
  • মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার লড়াইয়ে এক নতুন দিক যুক্ত হয়েছে।
  • আর অস্ত্র বা রকেট নয়, এবার পকেটের মধ্যে ঘুরছে বিস্ফোরক।

মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার লড়াইয়ে এক নতুন দিক যুক্ত হয়েছে। আর অস্ত্র বা রকেট নয়, এবার পকেটের মধ্যে ঘুরছে বিস্ফোরক। যেকোনো সময়ে দুমদাম করে ফাটছে পেজার। এই বিস্ফোরণের ফলে কারোর প্রাণ যাচ্ছে, কেউ হাত-পা খোয়াচ্ছেন। লেবাননে লাগাতার পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, যার ফলে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৮০০ জন। এই হামলা মূলত হিজবুল্লা জঙ্গি সংগঠনকে নিশানা করেই করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে, এবং এই ঘটনার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে হিজবুল্লা।

লেবাননে ধারাবাহিক পেজার বিস্ফোরণ
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটের দিকে আচমকাই পেজার বিস্ফোরণ শুরু হয়। যারা পেজার ব্যবহার করছিলেন, তাদের পকেটে থাকা পেজারগুলো হঠাৎ বিস্ফোরিত হতে শুরু করে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজিতবা আমানি এবং বহু হিজবুল্লা যোদ্ধা।

পেজার কী?
পেজার একটি ছোট ও বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা মূলত সংক্ষিপ্ত বার্তা বা সতর্কতা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হত। বেস স্টেশন থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে এই বার্তাগুলো পাঠানো হতো এবং এই ডিভাইসে একটি ছোট স্ক্রিনে বার্তাগুলো দেখানো হতো। যখন পেজারে কোনো বার্তা আসতো, তখন শব্দ হত, যেমন আজকের মোবাইল ফোনে মেসেজ আসলে নির্দিষ্ট রিংটোন শোনা যায়। ১৯৯০-এর দশকের শেষ এবং ২০০০-এর দশকের শুরুতে পেজার ব্যবহার অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।

পেজারের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেল কেন?
মোবাইল ফোনের আবিষ্কার এবং এর অগ্রগতির পর পেজারের ব্যবহার ক্রমশ হ্রাস পায়। মোবাইলে এখন কলিং, মেসেজিং, এবং ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়, ফলে পেজার প্রায় অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। বর্তমানে খুব কম ক্ষেত্রেই পেজার ব্যবহৃত হয়।

কোথায় এখনও পেজার ব্যবহৃত হয়?
যদিও পেজারের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এটি এখনও ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশে জরুরি পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে পেজার এখনও ব্যবহৃত হয়, কারণ এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং নেটওয়ার্ক ছাড়াই কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই হিজবুল্লা সদস্যরাও পেজার ব্যবহার করত।

Advertisement

হিজবুল্লার অভিযোগ, ইজরায়েলই এই বিস্ফোরণের পেছনে
হিজবুল্লার দাবি, সিরিয়াল পেজার বিস্ফোরণের জন্য ইজরায়েল দায়ী। গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইজরায়েলের চলমান যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন জানাচ্ছে হিজবুল্লা, এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলাও চালিয়েছে এই গোষ্ঠী। তাদের সন্দেহ, ইজরায়েল পেজার হ্যাক করে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

লিথিয়াম ব্যাটারির ঝুঁকি
এই পেজারগুলোতে ব্যবহৃত লিথিয়াম ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হলে ফেটে যেতে পারে। লিথিয়াম ব্যাটারির বিস্ফোরণ সম্ভবনা সবসময় থাকে, যা পেজারের ক্ষেত্রে সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। একই ধরনের ব্যাটারি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনেও ব্যবহৃত হয়। লেবানন সরকার আশঙ্কা করছে, পেজারের মতো অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্যেও একই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

সরকারের সতর্কতা
বিস্ফোরণের পর, লেবাননের সরকার জনগণকে তাদের পেজার ফেলে দিতে নির্দেশ দিয়েছে এবং আপাতত কোনো রেডিও বা ট্রান্সমিটার ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। পেজার বিস্ফোরণ সাধারণ মানুষকে ভীত করেছে, এবং এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে সরকার মোবাইল ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে সতর্ক করছে। এই হামলার পেছনে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে লেবানন। হামলার এই নতুন পদ্ধতি নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement