Advertisement

Morocco Earthquake: মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৮০০র বেশি, ধ্বংস বহু সৌধ

Morocco Earthquake: নিউজ এজেন্সি রয়টার্সের দাবি অনুযায়ী ভূমিকম্পে মরক্কোর বহু অট্টালিকা ভবন, নষ্ট হয়ে যায়। মরক্কোর বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী লোকেরা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইটেরও ক্ষতি হয়েছে। মরক্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী ভূমিকম্পে মৃত সংখ্যা ৮২০ হয়ে গিয়েছে।

মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প মৃত ৮০০র বেশি, মুূহূর্তে ধ্বংস বহু সৌধ
Aajtak Bangla
  • ,
  • 09 Sep 2023,
  • अपडेटेड 7:45 PM IST
  • মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প
  • মৃত ৮০০র বেশি মানুষ
  • মুূহূর্তে ধ্বংস বহু সৌধ

Morocco Earthquake: শুক্রবার গভীর রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৮০০-র বেশি লোকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। যেখানে কয়েকশো লোক গুরুতরভাবে জখম রয়েছেন। গত ৬ দশকের মধ্যে সবচেয়ে এই ভয়ংকর ভূমিকম্প এটি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন সৌধ থেকে ঘরবাড়ি।

নিউজ এজেন্সি রয়টার্সের দাবি অনুযায়ী ভূমিকম্পে মরক্কোর বহু অট্টালিকা ভবন, নষ্ট হয়ে যায়। মরক্কোর বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী লোকেরা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইটেরও ক্ষতি হয়েছে। মরক্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী ভূমিকম্পে মৃত সংখ্যা ৮২০ হয়ে গিয়েছে। যেখানে ৬৭২ আরও জখম রয়েছেন। এক স্থানীয় অফিসার জানিয়েছেন যে, বেশিরভাগ মৃত্যু পাহাড়ি এলাকায় হয়েছে। যেখানে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্য করতে ও পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। শুক্রবার ভোররাতে মরক্কোর হাই অ্যাটলাস পাহাড়ে হওয়া ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.২।

ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইটেরও ক্ষতি হয়েছে

রিপোর্ট অনুযায়ী ভূমিকম্পে ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইটেরও ক্ষতি হয়েছে। মরক্কোর মারাকেশ এর পুরনো শহরে অবস্থিত ইউনেস্কোর একটি পুরনো হেরিটেজ মসজিদের মিনার ভেঙে পড়ে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র মারাকেশ শহরের এক বাসিন্দা ইব্রাহিম হিম্মি, এজেন্সিকে জানিয়েছে যে, ভূমিকম্পের সময় পুরনো অট্টালিকা ভেঙে ধূলিস্বাত হয়ে গিয়েছে। তারা পুরনো শহরের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওতে যে ভূমিকম্পের তীব্রতা কতখানি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছে যে সমস্ত ভগবানের ইচ্ছা। কিন্তু আমরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। ওল্ড মারাকেশ শহরের বাসিন্দা জহরি মুহম্মদ বলেন যে ভূমিকম্পের আতঙ্কের কারণে এখনও আমরা ঘুমোতে পারছি না। বাঁচার জন্য লোকেরা যেভাবে পালাচ্ছিল, সেই দৃশ্য দেখে যে কোনও কারও শরীর ও মন শিউরে উঠবে। শহরের বেশিরভাগ বাড়ি পুরনো। একটা বাড়ি ভেঙে আরেকটা বাড়ির উপর পড়লে সবটাই একসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক ট্রাই জানান যে, আচমকা বাড়িঘর নড়া শুরু করল। আমরা বেশ কিছু জামা কাপড় এবং ব্যাগ উঠিয়ে বাইরে দৌড়ে পালাই।

Advertisement

১৯৬০ সালে পর মরক্কোতে সবচেয়ে ভয়ংকর ভূমিকম্প

অধিকাংশ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় শিক্ষক হামিদ জানিয়েছেন যে ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভব হতেই তাঁরা নিজেদের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন যে, প্রায় ২০সেকেন্ড পর্যন্ত পৃথিবী দুলতে থাকে। যখনই আমরা বাড়ি থেকে নিচের দিকে পালাতে থাকি, তখন দরজা নিজে নিজেই খুলে যায় এবং বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৬০ সালের পর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প

ভূ-বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা অনুসারে ১৯৬০ সালের পর মরক্কোর সবচেয়ে ভয়ংকর ভূমিকম্প হল এটি। ১৯৬০ সালে ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১২ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। তীব্রতার প্রেক্ষিতে ইতিহাসের ভয়ংকর ভূমিকম্প ১৯০৭ সালে চিলিতে হয়েছিল বলে এখনও পর্যন্ত নথিভুক্ত রয়েছে.

ভারত সমস্ত রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মরক্কোতে ভূমিকম্পে মৃত মানুষদের পরিবারের প্রতি নিজেদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি একটি টুইট করে জানান যে, মরক্কোর ভূমিকম্পের কারণে হওয়া মৃত্যুর ঘটনায় আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। এই সময়ের মধ্যে সকলের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। মরক্কোর সেই সমস্ত লোকেদের সঙ্গে আমরা রয়েছি। যারা নিজেদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। ভারত এই কঠিন সময়ে মরক্কোকে সমস্ত রকমের সম্ভাব্য সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement