সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের জন্য বিশ্বে একাধিক দেশই এখন চিনের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে চায়। দুনিয়ায় এখন জিনপিংয়ের প্রকৃত বন্ধু বলতে পাকিস্তানের ইমরান সরকার ছাড়াও রয়েছে আর মাত্র একটি দেশ। আর সেই দেশের নাম হল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনয়াক কিম জং উনের সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সখ্যতা কারওই নজর এড়ায়নি। কিন্তু সেই উত্তর কোরিয়াই এবার করোনা সংক্রমণের জন্য চিনের দিকে আঙুল তুলল। চিন থেকে উড়ে আসা ‘হলদে ধুলো’ করোনাভাইরাস বহন করতে পারে, এই আশঙ্কায় নাগরিকদের ঘরের ভেতরে থাকতে বলেছে উত্তর কোরিয়া। এই সতর্কবার্তার পরই দেশের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
উত্তর কোরিয়া প্রেসিডেন্ট কিম জং উন নিজের দেশকে আগেই করোনাভাইরাস মুক্ত বলে দাবি করেছে। গত জানুয়ারি থেকে দেশটিতে কঠোরভাবে সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মাঝেই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশন (কেসিটিভি) আবহাওয়ার খবরে ‘হলদে ধুলো’ প্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছিল। সেই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ায় সমস্ত নির্মাণকাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সরকারের মুখপত্র রোডং সিনমুন পত্রিকায় জানান হয়েছে এই বিষয়ে শ্রমিকদের সতর্ক করা হয়। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতেও এই বিষয়ে সতর্কবার্তা পাঠান হয়।
বছরের নির্দিষ্ট সময়ে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাহিত হওয়া মঙ্গোলিয়ান ও চিনের গোবি মরুভূমির বালিকেই ‘হলদে ধুলো’ বলা হয়। বিষাক্ত ধুলোর সঙ্গে মিশে বছরের পর বছর এই ‘হলদে ধুলো’ দুই কোরিয়ার স্বাস্থ্যজনিত উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। এই মৌসুমি ধুলোর সঙ্গে কোভিড-১৯ এর কোনো যোগসূত্র পাওয়া না গেলেও, উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে করোনাভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
চিন থেকে হলুদ ধুলো ছড়ানো হচ্ছে। এই হলুদ ধুলোর পরিমাণ এত বেশি যে তা ঝড়ের আকার নিয়েছে। এখন এমনই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা উত্তর কোরিয়া জুড়ে। উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই মর্মে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে। বলা হয়েছে এই হলুদ ধুলোর ঝড় করোনা সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। করোনা যাতে নতুন করে না ছড়িয়ে পড়ে সেই কারণে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে বাসিন্দাদের। উত্তর কোরিয়ার ধারণা এই হলুদ ঝড় থেকে করোনা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়বে।