দক্ষিণ আফ্রিকায় আতঙ্ক বাড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়ান্ট Omicron। তবে এর মাঝেই একটা স্বস্তির বাণী শুনিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন Omicron-এ আক্রান্ত রোগীদের দেহে খুবই হালকা উপসর্গ থাকে এবং বাড়িতে থেকে সেটির চিকিৎসাও করা সম্ভব। সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যক্ষ ডাঃ অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তাঁর ক্লিনিকে এমন ৭ রোগী গিয়েছিলেন যাঁদের দেহে ডেলটা ভ্যারিয়ান্টের থেকে পৃথক উপসর্গ ছিল এবং সেগুলি খুবই হালকা ছিল। তিনি আরও জানাচ্ছেন, ১৮ নভেম্বর তাঁর কাছে এক রোগী গিয়েছিলেন যার গায়ে ব্যাথা ও মাথা ব্যাথা ছিল।
'ভাইরাল ফিভারের মতো লক্ষণ'
অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি জানাচ্ছেন, এর উপসর্গ সামান্য ভাইরাল জ্বরের মতোই। তিনি আরও জানাচ্ছেন, ৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে সেখানে কোনও করোনার কেস হয়নি। তাই তারা পরীক্ষা করান। তাতে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সেই দিনই তাঁর কাছে একই উপসর্গ নিয়ে আরও কয়েকজন রোগী আসেন। তারপর থেকে প্রতিদিনই তাঁর কাছে একই উপসর্গ নিয়ে ২-৩ জন করে রোগী আসতে শুরু করেন। কোভিড ১৯-এর নতুন ভ্যারিয়ান্ট B.1.1529 গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া গিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে 'Variant of Concern' ঘোষণা করার পাশাপাশি, এর নাম দিয়েছে Omicron।
'হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই'
কোয়েটজিই প্রথম Omicron ভাইরাসকে চিহ্নিত করেন। তিনি সরকারের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্যও। কোয়েটজির মতে, বর্তমানে যে রোগীরা যাচ্ছেন তাঁদের খুবই হালকা উপসর্গ রয়েছে। তাই তাঁদের হাসপাতালে ভর্তির দরকার নেই। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ওমিক্রনে সংক্রামিত রোগী স্বাদ-গন্ধ যায়নি এবং অক্সিজেন মাত্রাও কমেনি। কোয়েটজি বলছেন, তাঁর কাছে যে সব রোগীরা এসেছিলেন তাঁদের বেশিরভাগের বয়স ৪০-এর ওপরে। অনেকের টিকাকরণও হয়নি। এই ভ্যারিয়ান্টে ১-২ দিন ক্লান্তি থাকে বলে জানাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে গায়ে ব্যাথা ও মাথা যন্ত্রণা থাকে রোগীর।