নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা (Nigeria Flood)। এখনও পর্যন্ত সরকারি তরফে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তবে, বেসরকারি তরফে এই সংখ্যা আরও বেশি। ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ২৭টি রাজ্য বন্য়ায় ক্ষতিগ্রস্ত। লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া রয়েছেন। প্রায় ১৩ লাখ মানুষ বন্যায় ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন বলে খবর। ২ লাখেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাড়ি-ঘর ছাড়াও বিস্তীর্ণ কৃষিজমিও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
দেশটির বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিম আফ্রিকার (West Africa) দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যা একটি অপ্রতিরোধ্য দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। কারণ বেশিরভাগ রাজ্য বেশ কয়েকবার সতর্কতা সত্ত্বেও পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না।
আরও পড়ুন: Howrah Money Recover: শৈলেশের আরও একটি ফ্ল্যাটে উদ্ধার প্রায় ৬ কোটি টাকা, শিবপুরেও টাকার পাহাড়
নাইজেরিয়ার মানবিক বিষয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সাদিয়া উমর ফারুক (Sadiya Umar Farouk) রবিবার সংবাদিক বৈঠক করেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন।
নাইজেরিয়ায় এক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বন্যা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্ষাকালে প্রতি বছর দেশটিতে হালকা বন্যা দেখা দিলেও এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণ হিসেবে অতিবৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুর্বল পরিকল্পনা এবং অবকাঠামো বন্যার ক্ষতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
নাইজেরিয়ার আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে যে ডেল্টা, রিভার, ক্রস রিভার, বায়েলসা এবং আনামব্রা-সহ দেশের দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্যে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বন্যা অব্যাহত থাকতে পারে।