Advertisement

ব্রাজিলে মৃত্যু স্বেচ্ছাসেবীর, বড়সড় প্রশ্নের মুখে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা

এই প্রথম করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পর বিশ্বে কোনও স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ সাও পাওলোর তরফে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তি ব্রাজিলিয়ান। জানা যাচ্ছে, তিনি রিও ডে জেনেইরোর বাসিন্দা।

করোনা ভ্য়াকসিন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 Oct 2020,
  • अपडेटेड 10:50 AM IST
  • করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সময় স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু
  • বিশ্বে এই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ট্রায়ালের সময়
  • তবে ট্রায়াল চলবে বলে বিবৃতি দিয়ে জানাল অক্সফোর্ড

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের  তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ফের প্রশ্নের মুখে। ব্রাজিলে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশগ্রহণকারী  এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রথম করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার পর বিশ্বে কোনও স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। তবে ট্রায়ালে যুক্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গোপনীয়তার কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ সাও পাওলোর তরফে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে, মৃত ব্যক্তি ব্রাজিলিয়ান। জানা যাচ্ছে, তিনি রিও ডে জেনেইরোর বাসিন্দা। নাম ডঃ জোআও পেড্রো আর ফেইটোসা। ২৮ বছরের ওই চিকিৎসক ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার কারণে তার শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে পড়ে।   ব্রাজিলে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ডের 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে তিনি অংশ নিয়েছিলেন।

 গত সেপ্টেম্বরে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলাকালীন ব্রিটেনে এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেই ভারত সহ একাধিক দেশে ওই ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে  অবশ্য জানা যায়, ওই স্বেচ্ছাসেবীর অসুস্থতার কারণ করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়। তার পরই, পুনরায় ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয় বিশ্বজুড়ে।  তবে ব্রাজিলে  স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হলেও ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সেদেশের  স্বাস্থ্য সংস্থা 'আনভিসা'। ব্রাজিলে স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অক্সফোর্ডও  এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়ে যাবে।  ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনও উদ্বেগ নেই।

বর্তমানে  বিশ্বজুড়ে একধিক সংস্থার তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। তবে সবচেয়ে বেশি  আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনটিই। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে বর্তমানে। সূত্রের খবর, নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতেই এই ট্রায়ালের ফল মিলবে। আর আগামী বছরের শুরুতেই বাজারে চলে আসতে পারে অক্সফোর্ডের বহু প্রতিক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement