আগামী ১৮ ও ১৯ নভেম্বর হতে চলেছে এই শতাব্দির সবচেয়ে দীর্ঘ আংশিক চন্দ্রগ্রহণ (Partial Lunar Eclipse 2021)। বৈজ্ঞানিকেরা জানাচ্ছেন আমেরিকার ৫০টি রাজ্যে থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে। ৫৮০ বছর পরে হতে চলেছে এত দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ। আর সেই কারণেই এই দৃশ্যকে ক্যামেরা বন্দি করতে মুখিয়ে রয়েছেন গোটা বিশ্বের বৈজ্ঞানিকেরা। এই চন্দ্রগ্রহণ চলবে ৩ ঘণ্টা, ২৮ মিনিট ও ২৩ সেকেন্ড ধরে।
নাসা (NASA) জানাচ্ছে, ৫৮০ বছর পর হতে চলেছে এত দীর্ঘ সময়ের চন্দ্রগ্রহণ (Chandra Grahan 2021)। তবে যে সময় মার্কিন মুলুকে লোকজন চন্দ্রগ্রহণ দেখবেন সেই সময় ভারতীয়রা দিনের আলোয় নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। এই চন্দ্রগ্রহণকে বলা হয় দ্য মাইক্রো বিভর মুন। কারণ এটি পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে।
ইন্ডিয়ানার বাটলার ইউনিভার্সিটির হলকম্ব অবজারভেটরি অনুসারে, যখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ৯৭ শতাংশ অংশ ঢেকে ফেলে তখন তাকে বলে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। এর আগে ২০১৮ সালে ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল। তবে এবার গ্রহণের সময়কাল ৩ ঘণ্টা, ২৮ মিনিট ও ২৩ সেকেন্ড।
যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী চলে আসে এবং পৃথিবীর ছায়ার কারণে চাঁদের আলো মাটিতে পৌঁছতে পারে না তখন হয় চন্দ্রগ্রহণ। পৃথিবীর ছায়া কখনও চাঁদকে আংশিক ঢেকে ফেলে, কখনও আবার সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলে। যার জেরে কখনও কখনও চাঁদকে লালরঙেরও দেখায়। এর কারণ হল সূর্যের আলো পৃথিবীর ছায়ার গভীর অংশে সরাসরি আঘাত করে না। সেটি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ঘুরে যায়। আর লাল এবং কমলা তরঙ্গ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি মেহগনি লাল রঙ তৈরি করে। যার জেরে চাঁদকে লাল দেখায়।
এই চন্দ্রগ্রহণ, উত্তর আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগরে দ্বিপ ও দেশসমূহ, আলাস্কা, পশ্চিম ইউরোপ, পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপান থেকে দেখা যাবে। অন্যদিকে গ্রহণের শুরুর মুহূর্ত পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকেও দেখা যাবে। পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের মানুষ চন্দ্রগ্রহণের উচ্চতম মাত্রা দেখতে পাবেন।
তবে আফ্রিকা, মধ্যপূর্ব ও পশ্চিম এশিয়ায় এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। এরপর পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (Full Lunar Eclipse 2022) সেই ২০২২ সালের ১৫-১৬ মে। তারপর ফের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ওই বছরেরই ৭-৮ নভেম্বরে। তবে তার সময় ও অন্যান্য তথ্য এখনও জানা যায়নি