Advertisement

ভ্যাকসিন নিয়ে সুসংবাদ শোনাল 'ফাইজার', তৃতীয় ট্রায়ালে সাফল্যের হার ৯০%

জার্মান বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেক সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর তাদের ভ্যাকসিন বলে দাবি করেছে সংস্থা দু'টি। এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের কোনও গুরুতর সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। ফলে চলতি মাসের শেষের দিকেই ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন মেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকরী জানাল ফাইজার
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 09 Nov 2020,
  • अपडेटेड 11:32 PM IST
  • করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়েছে
  • এর মধ্যেই মার্কিন মুলুক থেকে এল সুংসবাদ
  • তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকরী জানাল ফাইজার

বিশ্বে করোনা মহামারি নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে ইউরোপ জুড়ে। আমেরিকায় দৈনিক আক্রান্ত এক লাখের গাণ্ডি ছাড়াচ্ছে। ভারতেও আসন্ন শীতের মরশুমে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় দুনিয়াবাসী এখন তাকিয়ে রয়েছে ভ্যাকসিনের থেকে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ইতিমধ্যে আশার আলোও দেখিয়েছে। চলতি বছরের শেষেই এই ভ্যাকসিন মিলতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এর মধ্যেই মহামারির বিশ্বে এবার সুখবর শোনাল মার্কিন ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ফাইজার। তাদের তৈরি করা ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯০ শতাংশই কার্যকরী বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

জার্মান বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেক সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর তাদের ভ্যাকসিন বলে দাবি করেছে সংস্থা দু'টি। এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের কোনও গুরুতর সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। ফলে চলতি মাসের শেষের দিকেই ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন মেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ফাইজারের চেয়ারপার্সন এবং সিইও অ্যালাবার্ট বুর্লা বলেন, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের যে প্রথম ফলাফল এসেছে, তাতে সংক্রমণ ৯ রুখতে আমাদের টিকার ক্ষমতার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। বিশ্বব্যাপী এই স্বাস্থ্য সংকটকে নিয়ন্ত্রণ করতে বহু আকাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দিকে  আমরা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পা ফেলেছি।’

জানা গিয়েছে, অন্যান্য অনেক কোভিড ভ্যাকসিন প্রার্থীর মতোই ফাইজারের ভ্যাকসিনেরও  দুটি ডোজ দিতে হয়। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, প্রথম ডোজের ২৮ দিন এবং দ্বিতীয় ডোজেয় সাত দিন পর থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে কোভিডের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। ফাইজারের অন্যতম শীর্ষ ভ্যাকসিন বিজ্ঞানী বিল গ্রুবার এক সাক্ষাত্কারে বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য এবং আমরা এখন যে পরিস্থিতিতে রয়েছি সেখান থেকে সবাইকে রক্ষা করার জন্য একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ।

Advertisement

নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ভ্যাকসিনের আরও কার্যকর ফলাফল প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন মূল্যায়নের ভিত্তিতে সেই ফলাফল মিলেছে। সেই সংখ্যাটা ১৬৪ না হওয়া পর্যন্ত ট্রায়াল চলবে। এই সমীক্ষায় ৪৩,৫৩৮ জন অংশগ্রহণকারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৪২ শতাংশ এমন লোক ছিলেন যারা করোনা মোকাবিলায় খুব বেশি সাবধানতা নেন নি। 

ফাইজারের তৈরি BNT162b ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। এতে এখনও পর্যন্ত ৪৩,৫৩৮ জন অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে চলতি বছরের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩৮,৯৫৫ জনকে। এদের মধ্যে ৩০ শতাংশই আমেরিকা বাসী এবং ৪২ শতাংশ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের বাসিন্দা। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement