ইউক্রেন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই কথা জানানো হয়। রাশিয়ার সঙ্গে এখনও সংঘাত চলছে ইউক্রেনের। তার মধ্যেই সেই দেশে যাচ্ছেন মোদী। প্রসঙ্গত, তিনি রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। মস্কোতে দেখা করেছিলেন পুতিনের সঙ্গে। তার ঠিক এক মাসের মধ্যেই ইউক্রেন যাচ্ছেন নমো।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইউক্রেনের সফর দিয়ে বিস্তারিত তথ্য আজকের মধ্য়েই দেওয়া হবে বিদেশমন্ত্রকের তরফে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ইউক্রেনেরে কিভে এই মাসের শেষের দিকেই যাবেন মোদী।
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। তারপর থেকে মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাতিল করেছে পশ্চিমের দেশগুলো। সেই দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কও এখন তলানিতে। কিন্তু ভারত এবং চিনের মতো বড় দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রেখেছে। ব্যবসায়িক লেনদেন করছে।
পশ্চিমের দেশগুলো রাশিয়াকে সরাসরি দোষারোপ করলেও ভারত তা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে। ইউক্রেনের উপর তাদের আক্রমণকে সামরিক অভিযান বলতে চায় মস্কো। নরেন্দ্র মোদীর সরকার ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে লড়াই নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছে।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। জো বাইডেনের দেশ চেষ্টা করছে, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রেখে ভারতকেও পাশে পেতে। যদিও ভারত এখনও এই নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। কিন্তু, আমেরিকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো আছে বলেই দাবি করেছে ভারত। দিল্লিও চাইছে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখে পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর তাঁরা ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ৬ আগস্ট রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার ভূখণ্ডে এটাই প্রথম সামরিক অভিযান।
রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার পর পুতিন সেই দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্ল’-এ ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য সেই সম্মান দেওয়া হয় মোদীকে।