সম্পর্কের শীতলতা চোখে-মুখে! শুক্রবার উজবেকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সচেতনভাবে দূরত্ব তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গালওয়ানের সংঘর্ষের পর প্রথমবার একই মঞ্চে দেখা গেল দুই দেশের রাষ্ট্রনায়ককে। তবে পারস্পরিক সম্পর্ক যে এখনও স্বাভাবিক হয়নি, তা দুই নেতার উপস্থিতিই বুঝিয়ে দিল।
বৃহস্পতিবার নৈশভোজে যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সম্মেলন শুরু হওয়ার ঠিক আগে পৌঁছন। রীতি মেনে ফটোসেশনে পাশাপাশি দাঁড়ালেও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য বিনিয়ম করলেন না মোদী। তাঁর সঙ্গে হাত মেলানো তো দূর, হাসলেনও না। মোদী-জিনপিং কাছাকাছি থাকলেও যেন কয়েক আলোকবর্ষ দূরে! শুক্রবার এমনই বেনজির ছবির সাক্ষী থাকল উজবেকিস্তানের সমরখন্দ।
এ দিন সঙ্কটকালে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়,'অতিমারির মোকাবিলা করতে যখন গোটা বিশ্ব সক্ষম হয়েছে তখন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ এই দেশগুলিতে বাস করেন। তাই সুরক্ষা, জ্বালানি-সহ একাধিক বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার।' মোদীর বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে চিনা প্রেসিডেন্টের কথায়। পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন।
ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির কথাও তুলে ধরেন মোদী। তিনি বলেন,'ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার এ বছরেই ৭.৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে ভারতের অর্থনীতি সব চেয়ে দ্রুতশীল।'
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পরে সমরখন্দ পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। নৈশভোজে তাঁর অনুপস্থিতি নয়াদিল্লির কূটনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মোদীর কর্মসূচিতে শি-এর সঙ্গে বৈঠকের কথা নেই। অনেকের মতে,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়াতেই দেরি করে পৌঁছন মোদী।
আরও পড়ুন- প্রতারণা করে কোটি টাকার উপহার দিতেন সুকেশ, সব জানতেন জ্যাকলিন-নোরা!