শুক্রবার ইউক্রেন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বের সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কূটনীতির মাধ্যমে এর সমাধানে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারত সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, এরই মাঝে দুই দেশের মধ্যে চারটি চুক্তি (MOU) স্বাক্ষরিত হয়।
ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। উভয় দেশ কৃষি ও খাদ্য শিল্প, চিকিৎসা পণ্য, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় মানবিক অনুদান এবং ২০২৪-২০২৮ সালের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা কর্মসূচিতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ও জেলেনস্কির বৈঠক
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন মারিনস্কি প্রাসাদ। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি বৈঠক করেন। জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'যুদ্ধের ভয়াবহতা দুঃখজনক। যুদ্ধ শিশুদের জন্য ধ্বংসাত্মক।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ ভারত ও ইউক্রেনের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।'
তিনি বলেন, 'যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান করে না। আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়। উভয় পক্ষের একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করা উচিত। সময় নষ্ট না করে রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা করুক। ভারত শান্তি প্রচেষ্টায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'যুদ্ধে ভারতের অবস্থান কখনই নিরপেক্ষ ছিল না। তবে তারা বরাবরই শান্তির পক্ষে ছিল।'
ইউক্রেনে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী মোদী শুক্রবার সকালে পোল্যান্ড থেকে সরাসরি ট্রেনে কিভ পৌঁছান। কিভে পৌঁছানোর পর সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়।
বৈঠকের আগে কিভের এভি ফোমিন বোটানিক্যাল গার্ডেনে মহাত্মা গান্ধীর ব্রোঞ্জ মূর্তিতে ফুল অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই মূর্তিটি ২০২০ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১৫১তম জন্মবার্ষিকীতে স্থাপন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ইউক্রেনে গিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আমন্ত্রণে কিভে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।