PM Narendra Modi on Taliban Government: আফগানিস্তান নিয়ে সরাসরি কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শুক্রবার এসসিও সম্মেলনে তিনি সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি তিনি তালিবানদের সমালোচনা করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে মান্যতা দিতে নারাজ।
মোদীর আশঙ্কা
তালিবানদের দখলে আফগানিস্তান চলে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁর আশঙ্কা, আফগান-সঙ্কটের কারণে ড্রাগস, অবৈধ অস্ত্র, মানব পাচার বেড়ে যেতে পারে।
তালিবানকে তোপ
প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) বলেন, ভারত মনে করে আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া তালিবান সরকারকে আন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে না। কোনও সমঝোতা ছাড়া এই সরকার তৈরি হয়েছে। সেখানে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। এখন সারা দুনিয়াকে এই সরকারের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে কোনও না কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই ব্যাপারে ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জকে সমর্থন করে।
অস্ত্রের জোরে আফগানিস্তানে সরকার তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি (PM Narendra Modi)। সেখানে দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠা করার দরকার। আর তা না করতে পারলে সারা দুনিয়ায় অশান্তি লেগে যাতে বলে মনে করেন মোদী।
আফগানিস্তানের পাশে থাকার বার্তা
এদিন তিনি (PM Narendra Modi) বলেন, আফগানিস্তানে গভীর মানব সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আর্থিক এবং বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ সমস্যায়। আফগান জনতার আর্থিক ব্য়বস্থা বেড়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে কোভিডর চ্যালেঞ্জও চিন্তার কারণ। বিকাশ এবং মানবিক ভাবে পাশে থাকার জন্য ভারত দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের সহযোগী।
তিনি (PM Narendra Modi) আরও বলেন, আফগানিস্তানের সব জায়গায় আমরা সাহায্য করে। এখনও খাবার, ওষুধ পাঠাতে ইচ্ছুক। আমাদের সবাইকে মিলে এটা সেটা নিশ্চিত করতে হবে সেই সাহায্য যাতে পৌঁছে দেওয়া যায়। দীর্ঘদিন পরিকাঠামো, শিক্ষায় সহযোগিতা করেছি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এই দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সম্বন্ধ। আফগান সমাজের সাহায্যের জন্য ভারতের পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
অস্থিরতা বাড়তে পারে
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ঘটনার সঙ্গে, ড্রাগস, অবৈধ অস্ত্র, মানব পাচার অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহ বাড়তে পারে। সেখানে প্রচুর আধুনিক অস্ত্র রয়ে গিয়েছে। আর এর কারণে পুরো অস্তিরতা বেড়ে যেতে পারে। সেগুলি দেখতে, তথ্য পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
আতঙ্কবাদীদের নিয়ে 'জিরো টলারেন্স'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানকে এখন আতঙ্কবাদের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। সেখানে শান্তি থাকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উল্লেখ্য, এই সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও যোগ দিয়েছেন।