Russia-Ukraine War: রাশিয়া ও ইউক্রেন এখন মুখোমুখি। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে। রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনও দাবি করেছে, তারাও রাশিয়াকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। ইউক্রেনে অনেক বিস্ফোরণ হয়েছে। অনেকের মৃত্যু ও আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে।
এগিয়ে রাশিয়া
ন্যাটোর হস্তক্ষেপের পর রাশিয়াও তার দিকটা খুব পরিষ্কার রেখেছে। সামগ্রিকভাবে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পিছপা হওয়ার মুডে নেই। এদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার শক্তি নিয়ে আলোচনাও চলছে। তবে সামরিক ক্ষমতায় ইউক্রেনের চেয়ে অনেক এগিয়ে রাশিয়া।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার রয়েছে 'ফাদার অফ অল বম্বস' (FOAB)। এটি একটি অপারমাণবিক বোমা। তবে খুব শক্তিশালী। সূত্রের খবর বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম আরও লিখেছে, ইউক্রেনে এই বোমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন পুতিন।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র মিরর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন 'ফাদার অফ অল বম্ব' ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। এটি জোরদার ধাক্কা এবং ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ("shock and awe" campaign)। অ-পারমাণবিক হওয়া সত্ত্বেও, এর প্রভাব অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।
রাশিয়ার কাছে যে বোমা আছে তা থার্মোবারিক বোমা। এটি ৩০০ মিটার ব্যাসার্ধে বিস্ফোরণের পরে ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে। FOAB রাশিয়া ২০০৭ সালে তৈরি করেছিল। ২০০৭ সালে যখন এটি তৈরি করা হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল যে এটি আমেরিকান ভার্সানের চেয়ে ৪ গুণ বেশি শক্তিশালী।
এটিকে যদি আমেরিকার 'মাদার অফ অল বম্ব' (MOAB)-এর সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে এটি খুব শক্তিশালী। এটি MOAB বোমার চেয়ে ৪ গুণ বড়। রাশিয়ান বোমাটি ৪৪ টন টিএনটি। TNT-কে সাধারণত বোমার বিস্ফোরক ক্ষমতা হিসাবে দেখা হয়।
আমেরিকা MOAB ব্যবহার করেছে
এর আগে ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে MOAB ব্যবহার করেছিল। MOAB এর অর্থ হল 'মাদার অফ অল বম্বস'। আমেরিকা প্রথমবারের মতো এমন একটি অপারেশনে এটি ব্যবহার করেছে।
তবে তখনকার মার্কিন সরকার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা জানাতে রাজি হয়নি। সরকার বলেছিল, সুড়ঙ্গে ঢুকে লাশ গণনা করা ঠিক নয়। একই সময়ে, ফ্লোরিডার এগলেনা এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে ২১ নভেম্বর ২০০৩-এ এর পরীক্ষা করা হয়েছিল।
আমেরিকাকে জবাব দিয়েছিল চীনও
আমেরিকাকে জবাব দিতে ২০১৯ সালে এমনই ভারী বোমা প্রস্তুত করেছিল। পরীক্ষার সময় এই বোমাটি Xian H-6K বোমারু বিমান থেকে ফেলা হয়েছিল। এটি যে কোনও ভবন, সামরিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে পারে।
আরও পড়ুন: একজন ছাত্র একটি করে গাছের অভিভাবক! হিঙ্গলগঞ্জে সবুজের অভিযান
আরও পড়ুন: এনগেজমেন্ট সেরেই ফেললেন সায়ন্তনী ঘোষ, আজ কলকাতায় বিয়ে