Nepal Earthquake: গত এক মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার। শুক্রবার মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প ৬.৪ মাত্রার ছিল। সেই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় দিল্লি-এনসিআর, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। আর তারই মধ্যে আশঙ্কার কথা জানালেন এক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ( সিসমোলজিস্ট)। এই বিষয়ে সতর্ক করে তিনি জানিয়েছেন, নেপালের কেন্দ্রীয় বেল্টটি একটি 'সক্রিয় শক্তি নিঃসরণকারী অংশ'। এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
সিসমোলজিস্ট অজয় পাল হিমালয়ান জিওলজির ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউটে কাজ করতেন। তিনি জানালেন, শুক্রবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের ডোটি জেলার নিকটবর্তী অঞ্চলে। ২০২২ সালের নভেম্বরে সেখানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ছয়জন নিহত হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ৩ অক্টোবর নেপালে একের পর এক ভূমিকম্পও এই একই এলাকার আশেপাশে হয়েছিল। অজয় পল বলেন, এই অংশটি নেপালের কেন্দ্রীয় বেল্টে অবস্থান করে।
সিসমোলজিস্ট আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেন, জনগণকে এই বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
শুধু তিনিই নন, এর আগেও অনেক বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, হিমালয় অঞ্চলে 'যেকোনও সময়ে' একটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানবে। কারণ ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটটি উত্তরে সরে যাচ্ছে। আর তার ফলে ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে ঘর্ষণ হচ্ছে।
প্রায় ৪-৫ কোটি বছর আগে ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ভারতীয় প্লেট ভারত মহাসাগর থেকে উত্তরে চলে যায়। আর তার ফলেই হিমালয় তৈরি হয়েছিল।
বিজ্ঞানীদের মতে, হিমালয়ের নিচে চাপ তৈরি হচ্ছে। কারণ ভারতীয় প্লেট তার উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর তার ফলে ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে ঘর্ষণ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমালয়ের উপর এই চাপ সম্ভবত এক বা একাধিক বড় ভূমিকম্পের মাধ্যমে নির্গত হবে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা আটেরও বেশি গতে পারে।
তবে ঠিক কবে, কতদিন পরে এত বড় ভূমিকম্প ঘটতে পারে, তা সঠিকভাবে অনুমান করার কোনও উপায় নেই।