যারা পতিতাবৃত্তির কাজ করে তাদের স্বাস্থ্য বিমা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, পেনশনের সঙ্গে অসুস্থ হলে ছুটিও দেওয়া হবে। তার মানে যৌনকর্মীদেরও স্বাভাবিক চাকরির মতো সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। বেলজিয়াম বিশ্বের প্রথম দেশ যারা এমন একটি আইন করেছে। ২০২২ সালে, বেলজিয়াম পতিতাবৃত্তিকে বৈধ ঘোষণা করে।
এখন, দুই বছর পর, বেলজিয়াম সারা বিশ্বে প্রথমবারের মতো এমন একটি আইন করেছে, যা উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। এর সঙ্গে যৌনকর্মীদের অফিসিয়াল নিয়োগ চুক্তি থাকবে। এর সাহায্যে, যৌনকর্মীরাও অন্যান্য স্বাভাবিক চাকরিতে পাওয়া সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পেতে সক্ষম হবে। স্পষ্টতই এটি যৌনকর্মীদের জীবনকে সহজ করে তুলবে।
উপকৃত হবেন ৩০ হাজার মানুষ
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আইন যৌনকর্মকে অন্য যেকোনো কাজের মতোই বিবেচনা করে। এই শিল্পে কর্মরতদের স্বাস্থ্য বিমা, মাতৃত্বকালীন ছুটির মতো সুবিধা দেওয়া হয়। অনুমান করা হয় যে এখন প্রায় ৩০,০০০ যৌনকর্মী মৌলিক কর্মসংস্থান অধিকার পাবে।
রুমে একটি অ্যালার্ম থাকবে
বেলজিয়ামের এই আইনের অধীনে, যে ঘরে যৌন পরিষেবা দেওয়া হয় সেখানে একটি জরুরি অ্যালার্ম বোতাম ইনস্টল করা হবে। এর উদ্দেশ্য যৌনকর্মীদের নিরাপত্তা বাড়ানো। বেলজিয়ান ইউনিয়ন অফ সেক্স ওয়ার্কার্স (ইউটিএসওপিআই) এর প্রধান ভিক্টোরিয়াও বিশ্বাস করেন যে এই আইন যৌন কর্ম সম্প্রদায় সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তন করতে পারে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইরিন কিলব্রাইড নতুন আইনকে বিপ্লবী বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এটি বিশ্বের সর্বকালের সেরা পদক্ষেপ।
আইনের অধীনে নতুন শর্তাবলী
আইন অনুযায়ী, যৌনকর্মীদের চাকরির চুক্তি এবং আইনি সুরক্ষা থাকবে। যৌন কাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলিকে নতুন আইনের অধীনে আইনিভাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে, যদি তারা কঠোর নিয়ম মেনে চলে। গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোনো ব্যক্তিকে যৌনকর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে না।