সিরিয়া দখল করে নিল বিদ্রোহীরা। রবিবারই রাজধানী দামাস্কাসের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে এসেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। রাজধানীর আকাশে শূন্যে গুলি চালিয়ে বিদ্রোহীরা বিজয় উদযাপন করছে বলেও খবর।
দামাস্কাসের দখল নিয়েছে সিরিয়ার দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী 'হায়াত তাহরির আল-শাম' (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী 'জইশ আল-ইজ্জা'র যৌথবাহিনী। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সরকারি রেডিও এবং টিভির নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতেই। শীঘ্রই নতুন সরকার গঠন করতে পারে তারা। বিদ্রোহীরা ঔপচারিক ঘোষণা করেছে, রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান হয়েছে। আসাদের কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছে সিরিয়া।
রাজধানীতে বিদ্রোহীদের স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। চলেছে 'আজাদি', 'আজাদি' স্লোগানও। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহীরা। তাদের বক্তব্য, সিরিয়ায় অন্যায়ের রাজত্বের অবসান হয়েছে।
৫০ বছরের শাসনের অবসান
৫০ বছর আগে বাশার আল-আসাদের বাবা হাফেজ আল-আসাদ দেশের ক্ষমতা দখল করেছিলেন। বিদ্রোহীরা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, "বাথিস্ট শাসনে (আসাদের দল) ৫০ বছর ধরে চলেছে নির্যাতন। আজ, ৮ ডিসেম্বর, আমরা সেই অন্ধকার যুগের অবসান হল। নতুন সূচনা হতে চলেছে। উল্লেখ্য, সিরিয়ায় এমন বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থান এই প্রথম নয়। ছয়ের দশকে সিরিয়ায় অভ্যুত্থানে প্রথমে রেডিও-টিভি ভবন দখল করে সেনাবাহিনী। তারপর নতুন সরকার ঘোষণা করা হয়। এত বছর ক্ষমতা দখল করল হায়াত তাহরির আল-শাম।
গত ২৪ বছরের ধরে সিরিয়া শাসন করছিলেন বাশার আল-আসাদ। এর মধ্যে ১৩ বছর ধরেই চলছিল গৃহযুদ্ধ।ওই দেশের রাজধানী এখন হায়াত আল-শামের নিয়ন্ত্রণে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা মাত্র ১০ দিনের মধ্যে দামাস্কাস দখল করে ফেলেছে।
সালটা ১০১১। সিরিয়ার দক্ষিণের শহর ডেরায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদে বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।সেই বিক্ষোভই এমন আকার নিল যে বাশারকে ছাড়তে হল সিরিয়া। অজানা কোনও জায়গায় পালিয়ে গিয়েছেন তিনি।