গত ২৫ বছরে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি তাইওয়ান (Taiwan Earthquake)। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৭.৪। তছনছ হয়ে গিয়েছে দেশটির একটা বড় অংশ। এর আগে ১৯৯৯ সালে ৭.৬ মাত্রার কম্পন হয়েছিল তাইওয়ানের নানতাও কাউন্টিতে। আড়াই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সে বার।
আজ অর্থাত্ বুধবারের ভূমিকম্পের মাত্রাও ১৯৯৯ সালের কাছাকাছি। প্রচুর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু দেহ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সুনিমা সতর্কতা জারি হয়েছে। জাপানে ইতিমধ্যেই দুটি দ্বীপে সুনামি শুরু হয়ে গিয়েছে।
তাইওয়ানের আজকের ভূমিকম্পের বেশি কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেখলে রীতিমতো ভয় লাগবে। কোথাও মেট্রোরেল যাত্রী সহ ছিটকে পড়ছে, কোথাও ব্রিজ, বাড়ি ভেঙে পড়ছে, কোথাও আবার সুইমিং পুলের জল উথালপাতাল।
তাইওয়ানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী,সকাল ৮টা নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ান। তাইওয়ানের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.২।
যদিও মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানাচ্ছে, এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৪। এপিসেন্টার ছিল দক্ষিণ তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১১ মাইল অর্থাৎ ১৮ কিলোমিটার দূরে।
জাপানে সুনামি অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন মিটার উঁচুতে জল আছড়ে পড়তে পারে বলে জাপানের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপ-সহ অন্যান্য দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষ উদ্ধারকারী দল।
তাইওয়ানের ভূমিকম্প নজরদারি সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্প চিনের উপকূলে অবস্থিত কিনমেন দ্বীপেও অনুভূত হয়েছে ৷ শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অনেকগুলি ভূকম্পন-পরবর্তী ভূকম্পন হয়েছে তাইওয়ানে ৷