Terrorist Hafiz Saeed Son Missing: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড উগ্রপন্থীর তালিকায় থাকা পাকিস্তানি জঙ্গি হাফিজ সাঈদের সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার লিডারের ছেলে কামালউদ্দিন আচমকা এইভাবে গায়েব হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের সিক্রেট এজেন্সি আইএসআইয়ের সমেত সমস্ত উগ্রপন্থী সংগঠনের মধ্যে হৃদকম্প শুরু হয়ে গিয়েছে। কামালউদ্দিন গায়েব হওয়ার পিছনে দাবি করা হচ্ছে যে, তাঁকে হয়তো গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে।
একাধিক পাকিস্তানি সাংবাদিক দাবি করেছেন যে, পাকিস্তানের সিক্রেট এজেন্সি আইএসআইকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা পায়নি। হাফিজ সাঈদ একজন পাকিস্তানি নাগরিক। যে যিনি মুম্বইয়ের ২৬/১১ উগ্রপন্থী হামলার মাস্টারমাইন্ড। তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে নামকরা উগ্রপন্থী শাহিদ আপাতত পাকিস্তানের জেলে বন্দী রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক স্তরের উগ্রপন্থী ঘোষিত হয়েছেন সইদ
হাফিজ সইদ পাকিস্তানের সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সংযুক্ত। রাষ্ট্র সুরক্ষা পরিষদ, ভারত, আমেরিকা, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়াতে উগ্রপন্থী হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে।
জুন ২০২১-এর লাহোরে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড এবং নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত ও দাওয়াতের লিডার হাফিজ সইদের ঘরের বাইরে একটা শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। যার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়ে যায় এবং ২০ জনের বেশি জখম হন। এই ঘটনায় কোনও পাকিস্তানের একটি উগ্রপন্থী বিরোধী আদালত মার্চ ২০২৩ এ তিনজন লোককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা ঘোষণা করে।
হাফিজ সাঈদকে আমেরিকার তরফ থেকেও উগ্রপন্থী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমেরিকার হাফিজের ওপর কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা রয়েছে। সইদকে জুলাই ২০১৯-এ গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আমেরিকার চাপে হাফিজ সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়
২০১৮ মুম্বাই হামলায় ৬ আমেরিকান সমেত ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। মুম্বাই হামলায় আমেরিকার বাসিন্দাদের মৃত্যু নিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শহীদের গ্রেফতারের নিয়ে তৎকালীন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের একটা টুইটে লিখেছিলেন ১০ বছরের অনুসন্ধানের পর শেষমেষ মুম্বাই জঙ্গি হামলার অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে। গত দুবছর থেকে তাকে খোঁজার পর গ্রেফতার করার জন্য খুব বেশি চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। পাকিস্তান সইদকে আগেও একবার নজরবন্দি করেছিল। যখন ভারত সইদকে ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনায় দায়ী করেছিল।