আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে না হতেই ময়দানে ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৭ নভেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প ফ্লোরিডার একটি রিসোর্ট থেকে এই ফোন করেছিলেন। ফোনে ট্রাম্প পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না বাড়ানোর পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে ইউরোপে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতির কথাও মনে করিয়ে দেন।
পুতিন ট্রাম্পকে তাঁর জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক ভাল করা এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে দু'জনের আলোচনা হয়। আলোচনায় দুই বিশ্বনেতা ইউরোপে শান্তি আনার কী রোডম্যাপ হতে পারে, সেই নিয়েও কথা বলেন। ট্রাম্প যুদ্ধের দ্রুত সমাধানে আরও আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ করার পক্ষপাতী। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প এমন এক চুক্তিতে সাপোর্ট করতে পারেন, যেখানে রাশিয়া দখলকৃত অঞ্চলের কিছু অংশ রাখতে পারে। পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্প এই বিষয়টিরও সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করেন।
নির্বাচনের পর ট্রাম্প প্রায় ৭০টি দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও রয়েছেন। জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সময় ট্রাম্প ইউক্রেনকে সাপোর্ট করবেন বলে আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, ইলন মাস্কও এই আলোচনার সময় সামনে উপস্থিত ছিলেন।ইউক্রেনে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রথমে রাশিয়া ট্রাম্পের জয়ে সেভাবে কোনও রিঅ্যাকশন দেয়নি। পরে অবশ্য পুতিন প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে 'সাহসী' বলে প্রশংসা করেন। পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতে চান। ইউক্রেন সংকট মোকাবিলায় সদর্থক আলোচনাতেও তিনি রাজি বলে জানান।