Advertisement

Syria: ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ, ৫ লাখ মৃত্যু, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের লক্ষ্যটা কী?

হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহী জোট রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছে। দামাস্কাস ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। এর ফলে বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে। 

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 Dec 2024,
  • अपडेटेड 2:42 PM IST

হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহী জোট রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছে। দামাস্কাস ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। এর ফলে বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে। 

গৃহযুদ্ধের পটভূমি
আরব বসন্তের ঢেউ তিউনিসিয়া থেকে ২০১১ সালে সিরিয়ায় পৌঁছে। আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়। এ যুদ্ধে আমেরিকা, রাশিয়া, ইরানসহ আন্তর্জাতিক শক্তি ও চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো যুক্ত হয়। দীর্ঘ ১৩ বছরের সংঘাতে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত লক্ষাধিক।

বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক বিজয়
এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে বিদ্রোহীরা। ৮ ডিসেম্বর দামাস্ক শহর দখলের মধ্য দিয়ে আসাদের সরকারের পতন ঘটে।

এই যুদ্ধে ঠিক কারা-কারা জড়িয়ে?

  1. আসাদ সরকার: ইরান, রাশিয়া ও হিজবুল্লাহর সমর্থনে দীর্ঘদিন টিকে থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোর সংঘাতে দুর্বল হয়ে পড়ে।
  2. হায়াত তাহরির আল-শাম: প্রাক্তন আল-নুসরা ফ্রন্ট, বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলোর চোখে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
  3. কুর্দি বাহিনী: আমেরিকার মিত্র হলেও তুর্কির আক্রমণের মুখে পড়ে।
  4. বিদেশি শক্তি:
    • তুর্কি: বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে।
    • রাশিয়া: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মনোযোগ হারিয়েছে।
    • ইরান ও হিজবুল্লাহ: বিদ্রোহীদের আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
    • আমেরিকা: কুর্দি বাহিনীকে সমর্থন দিয়েছে।
    • ইসরায়েল: ইরান ও হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করেছে।

ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা
বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারকে অপসারণে সফল হলেও পরবর্তী পরিকল্পনা এখনও অস্পষ্ট। আঞ্চলিক শক্তি ও বৈশ্বিক প্রভাবশালী দেশগুলো এই যুদ্ধের ফলাফলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের এই মোড় বিশ্বের রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিদ্রোহীদের বিজয় মধ্যপ্রাচ্য এবং বৈশ্বিক শক্তির জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement