Advertisement

Queen Elizabeth II: শুধু ব্রিটেনের নয়, মোট ১৪টি দেশের মহারানি ছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ

Queen Elizabeth II: মহারানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়, বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ১৯৫২ সালে নিজের বাবা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর মহারানি হন তিনি। তাঁর শাসনকালে ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী বদলে গিয়েছেন। তবে এলিজাবেথ শুধুমাত্র ব্রিটেনেরই নন, বরং আরও ১৫টি দেশের মহারানি ছিলেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সহ একাধিক প্রভাবশালী দেশ রয়েছে।

ব্রিটেন ছাড়াও আরও ১৪ দেশের মহারানি ছিলেন কুইন এলিজাবেথ দ্বিতীয়
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 09 Sep 2022,
  • अपडेटेड 12:50 PM IST
  • আরও ১৪ দেশের মহারানি ছিলেন কুইন এলিজাবেথ দ্বিতীয়
  • ব্রিটেন সহ সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ছিলেন তিনি

Britain Queen Elizabeth II Death: ব্রিটেনের মহারানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়, বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ১৯৫২ সালে মহারানি হন তিনি। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর। এলিজাবেথ দ্বিতীয়, ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকা শাসক। তাঁর শাসনকালে ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী বদলে গিয়েছেন। বিশেষ বিষয় হল যে, এলিজাবেথ শুধুমাত্র ব্রিটেনেরই নন, বরং আরও ১৫টি দেশের মহারানি ছিলেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সহ একাধিক প্রভাবশালী দেশ রয়েছে।

এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের জন্ম ২১ এপ্রিল, ১৯২৬ সালে হয়েছিল। তিনি সে সময় ১৫টি দেশের মহারানি ছিলেন। যদিও তিনি সরাসরি UK-র সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এলিজাবেথ ব্রিটেন ছাড়াও এ সমস্ত দেশের রানি ছিলেন

কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জামাইকা, বাহামা, গ্রেনেডা, পাপুয়া নিউগিনি, সলোমন আইল্যান্ড, তুবালু, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড গ্রেনেজন, অ্যান্টিগা এবং বারমুডা, বেলিজ, সেন্ড কিটস অ্যান্ড নেভি। যদিও ওই সমস্ত দেশের রাজার রূপে মহারানির ভূমিকা প্রতীকী বা আনুষ্ঠানিক ছিল। তিনি সোজাসুজি প্রশাসনে শামিল ছিলেন না। তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে অধিষ্ঠাত্রী ছিলেন।

২০২১-এ বার্বাডোজ আলাদা হয়ে যায়

২০২১ পর্যন্ত এই লিস্টে ১৫ তম দেশ হিসেবে বার্বাডোজ শামিল ছিল। কিন্তু ২০২১-এর নভেম্বরে মহারানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়কে নিজেদের রাষ্ট্রের প্রমুখরূপে মানতে অস্বীকার করে এবং নিজেদের একটা নতুন গণতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। বার্বাডোজ এখন কমনওয়েলথের একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বার্বাডোজ ৫৪টি গণতান্ত্রিক দেশের একটি সংগঠন, যা কখনও ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল।

এলিজাবেথ দ্বিতীয় একমাত্র মহারানি ছিলেন, যিনি একাধিক দেশের রানি ছিলেন। এলিজাবেথ ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে নিজের পিতা ষষ্ঠ জর্জের  মৃত্যুর পর রানি হয়েছিলেন। সে সময়ে তিনি ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান সহ ৩২ টি দেশের রানি ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে দেশের সংখ্যা কমতে কমতে অর্ধেক হয়ে যায়। বহু দেশ পৃথক গণতন্ত্র হিসেবে নিজেদের ঘোষণা করে। আবার অন্য কিছু দেশ অন্য শাহী শাসনের অধীনে চলে যায়। এলিজাবেথ নিজের অধীন থাকা অনেক দেশে সশস্ত্র বলের কমান্ডার ইন চিফও ছিলেন।

Advertisement

ডিউক অব ফিলিপের সঙ্গে বিয়ে হয় এলিজাবেথ দ্বিতীয়

১৯৪৭ সালে এলিজাবেথ দ্বিতীয় এডিনবরার ডিউক ফিলিপের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ডেনমার্ক এবং গ্রিসের রাজকুমার প্রিন্স ফিলিপ এর জন্ম ১৯২১ সালে হয় এবং তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্রিটিশ রয়াল নেভিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি নিজের এই কর্তব্য থেকে অবসর নেন। তিনি ২০২১ সালে মারা যান। তাঁর সন্তান চার্লস, অ্যানি, অ্যানড্রিউ এবং এডওয়ার্ড। এখন তাঁর বড় ছেলে চার্লস ৭৩ বছর বয়সে ব্রিটেনের রাজা হয়েছেন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement