বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ক কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রকাশ পেল এক নয়া উদ্বেগের। একের পর এক করোনা স্ট্রেনের আবির্ভাব নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কিত হু। তবে বিশ্ব কোনওদিনই করোনাশূন্য হবে না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল এই বৈঠকটি। কিন্তু ব্রিটেন-সহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনা নয়া স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জন্য তড়িঘড়ি দু'সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয় বৈঠক। টিকাকরণ ও টিকাবন্টন নিয়েও আলোচনা হয় সংশ্লিষ্ট কমিটির মধ্যে। সেখানে ভ্যাকসিন ন্যাশনালিজম নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সদস্যরা।
অনেকের দাবি, টিকা বণ্টনের বিষয়ে ধনী দেশগুলির মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলবে। সকলেই চাইবে নিজের দেশে বিপুল সংখ্যক টিকা সংরক্ষণ করতে। এদিকে এখনও বিশ্বজুড়ে অব্যাহত রয়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। এক বছরে একাধিকবার ভোল বদলেছে নোভেল করোনাভাইরাস। ক্রমাগত মিউটেশনের ফলে উৎপত্তি ঘটেছে বাড়তি সংক্রমণ ক্ষমতাযুক্ত স্ট্রেনের।
এদের মধ্যে ব্রিটেনে যে ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে তার সংক্রমক হার সবচেয়ে বেশি। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও পাওয়া গিয়েছে অন্য আরেক প্রজাতির করোনা। তবে এর কোনওটিই বিলিতি করোনার মতো সংক্রমক নয়।
তবে এবার জিন প্রযুক্তির সাহায্যে ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সবগুলি স্ট্রেন চিহ্নিত করা প্রয়োজন, বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছে কমিটি। আর এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব কখনও আর ‘কোভিড-১৯ রোগী শূন্য’ হবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশের পাশাপাশি সতর্কও করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।