Advertisement

Taslima Nasrin: 'বাংলাদেশের হিন্দুদের হয়ে লিখেছি বলে FB অ্যাকাউন্ট বন্ধ,' অভিযোগ তসলিমার

তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাত দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। লেখিকার অভিযোগ বাংলাদেশি হিন্দুদের হয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বন্ধ করা হয়েছে তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Nov 2021,
  • अपडेटेड 1:38 PM IST
  • বন্ধ করা হয়েছে তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
  • লেখিকারা দাবি, ৭ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে
  • হিন্দুদের হয়ে মুখ খোলায় এমন হয়েছে বলে অভিযোগ

তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাত দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। লেখিকার অভিযোগ বাংলাদেশি হিন্দুদের হয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

তসলিমা নাসরিন দাবি করেছেন, সত্যি কথা বলার জন্যই তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে  সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম  ফেসবুক থেকে । এই নিয়ে তিনি ট্যুইটে করে নিজের ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।

ট্যুইটে তসলিমা লিখেছেন, , 'সত্যি বলার অপরাধে ফেসবুক আমাকে আবারও ৭ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।' 

 

পরে অপর একটি টুইটে বিস্তারিত ভাবে তিনি লেখেন, 'ফেসবুক আমাকে নিষিদ্ধ করেছে এটা লেখার জন্য - ইসলামপন্থী উগ্রবাদীরা বাংলাদেশি হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দির ধ্বংস করেছে এই বিশ্বাস করে যে হিন্দুরা হনুমানের পায়ের ওপর কোরান রেখেছে। কিন্তু যখন জানা গেল ইকবাল হোসেন সেটা করেছেন, হিন্দুরা নয়, ইসলামপন্থীরা চুপ হয়ে গেছে। তারা ইকবালের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি বা কিছু করেনি...'

 

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য তসলিমা নাসরিন প্রথম থেকেই বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করে আসছেন। গত মাসে এক ট্যুইটে তিনি লেখেন, বাংলাদেশের নতুন নাম হয়ে গেছে জিহাদিস্তান। হিন্দুদের পূজো প্যান্ডেল, মন্দির, বাড়িঘর, দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

একই সঙ্গে এই ইস্যুতে নীরব থাকায় সমালোচনা করেছইলেন ভারতীয় 'ধর্মনিরপেক্ষ সম্প্রদায়ের'। ঘটনায় তিনি তোপ দেগেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ৷  তাঁর অভিযোগ, ওই দেশের সংবাদমাধ্যমকে এই খবর না প্রকাশিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা। তাই হাসিনার উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ, 'উনি (হাসিনা) জিহাদিদের মা এবং জিহাদিস্তানের রানি।' 

ভারতীয়দের কটাক্ষ করে তসলিমা লিখেছিলেন, 'গাজায় মুসলিমরা আক্রান্ত হলে ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষ সম্প্রদায় যতটা ভয় পায়, প্রতিবেশি বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত হওয়ায় তারা ততটা ভীত হয় না।'

Advertisement

প্রসঙ্গত বাংলাদেশের কুমিল্লায় গত মাসে একটি দুর্গা পুজো প্যান্ডেলে হনুমানজির মূর্তির ওপর কোরান রাখার গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই গুজবের পর বাংলাদেশে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়। স্থানে স্থানে হিন্দুদের টার্গেট করা হয়  এবং মন্দিরে ভাংচুর চলে। এই ঘটনায় মন্দিরে কোরান শরিফ রাখা ইকবাল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement