বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থার টাকা আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। একবার ভাবুন, প্রতিবেশী দেশের আকাশে এবার বিমান চলবে কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ বাংলাদেশের এমন অবস্থা যে এখন বিমান সংস্থার টাকা দিতেই নাকি হিমশিম খাচ্ছে তারা। মানে তাদের এমন পরিস্থিতি যে আগামিদিনে বাংলাদেশের আকাশে বিমান উড়বে কি না সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। আর্থিক সঙ্কটে কার্যত জেরবার বাংলাদেশে। তাদের এমন অবস্থা যে, বিমান সংস্থার টাকাও দিতে পাড়ছে না। এই ঋণের পরিমাণ প্রায় 1734 কোটি টাকা বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন। মানে বাংলাদেশ এত পরিমাণ টাকা বাকি রেখছে যে এবার বাংলাদেশ কী ভাবে এই টাকা পরিশোধ করবে সেটাই চিন্তার বিষয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রকের দাবি, গত অর্থবছরে বিমানের 436 কোটি টাকা লাভ হয়েছে। তাহলে কেন তারা টাকা দিচ্ছে না কিন্তু এই ঘাটতি কীভাবে মেটানো হবে তা অবশ্য পরিষ্কার করে জানানো হয়নি। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের কাছে বিমান সংস্থাগুলির মোট যে পাওনা রয়েছে তার 68 শতাংশই আটকে আছে 5টি দেশের কাছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া। এছাড়াও আলজেরিয়া, পাকিস্তান ও লেবাননের কাছেও বিভিন্ন বিমান সংস্থা টাকা পাবে বলেও উল্লেখ করেছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন। পাকিস্তানের কাছে পাওনা আছে প্রায় 18 কোটি টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়েছে, 2022 সালের এপ্রিলে আটকে রাখা এই টাকার পরিমাণ যা ছিল এই বছর তা 47 শতাংশ বেড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া এবং পাওনা হিসাবে থাকার কারণে নিরবচ্ছিন্ন বিমান চালানো এবং সংযোগের ক্ষেত্রে নানা বাধা তৈরি করছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা। তবে এখন দেখার যে, এই টাকা কিভাবে মেটায় দেশগুলি।