জল্পনার অবসান। ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়'-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না ভারতের মাটিতে। পাকিস্তানের মাটিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। যার ফলে কর্নাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের উপকূলে ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। উল্লেখ্য, আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় নিয়ে যে লেটেস্ট আপডেট দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে আরব সাগরের উপর ঘণীভূত নিম্নচাপ 24 ঘণ্টার মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তবে ভারতের উপকূল এলাকাগুলিতে নয়, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আছড়ে পড়বে পাকিস্তানে। এর আগে মঙ্গলবার 6 জুন আবহাওয়া দফতর বুলেটিনে জানিয়েছিল পাকিস্তানের দক্ষিণ করাচিতে 1,490 km এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে নিম্নচাপ। এই ঘূর্ণিঝড় মুম্বইয়ের বর্ষা ঢোকার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কর্নাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের উপকূলে ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উত্তর আরব সাগরের উপর ঘণীভূত হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতে কর্নাটক, গুজরাট, গোয়া ও মহারাষ্ট্রে উপকূল এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় 45-55 কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও ঘণ্টায় 65 কিমি বেগে দমকা বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদর। এই মুহূর্তে মুম্বই-এ বর্ষা আগের থেকে বেশকিছুটা দেরিতে ঢুকবে বলেই অনুমান আবহাওয়া দফতরের। ফলে জলাশয় গুলিতে জলস্তর কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে বৃষ্টি হলে কিছুটা হলেও মুম্বইয়ে জলস্তর বাড়বে জলাশয়গুলির। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।