বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা গুলোতে। কয়েকঘন্টার ব্যবধানে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু নতুন এলাকা। বেড়েছে জলবন্দি মানুষের সংখ্যা। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলার ৫০ লাখ মানুষের বসতভিটে এখন জলের নীচে। বন্ধ হয়ে গেছে ৮০ শতাংশ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই এলাকার প্রধান শহর সিলেটের সঙ্গে গতকাল বিমান চলাচল বন্ধ হবার পর আজ বন্ধ করা হয়েছে বাস ও রেল চলাচল।
একদিকে বন্যার জল, অন্যদিকে আটকে পড়া মানুষ- বিভীষিকাময় অবস্থায় রয়েছেন বানবভাসীরা। নারী-পুরুষ, শিশুরা ছুটছেন আশ্রয়ের খুঁজে। যারা কখনাো ভাবেননি তাদের বাসতবাড়ির-সামনে জল আসতে পারে তারাও আক্রান্ত। নেই বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ জল, খাদ্য। সংকটে দেখা দিয়েছে জ্বালানী তেল ও মোমবাতির। বন্ধ রয়েছে বিমানবন্দর, বাস, ট্রেন। হাসপাতালে থাকা নিহতদের লাশ গন্তব্যস্থলে পৌঁছানাো যাচ্ছে না জলের কারণে। বাতিল করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ছুটি।
একদিকে বন্যার জল, অন্যদিকে আটকে পড়া মানুষ- বিভীষিকাময় অবস্থায় রয়েছেন বানবভাসীরা। নারী-পুরুষ, শিশুরা ছুটছে আশ্রয়ের খুঁজে। যারা কখনো ভাবেননি তাদের বাসতবাড়ির-সামনে জল আসতে পারে তারাও আক্রান্ত। নেই বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ জল, খাদ্য। সংকটে দেখা দিয়েছে জ্বালানী তেল ও মোমবাতির। বন্ধ রয়েছে বিমানবন্দর, বাস, ট্রেন। হাসপাতালে থাকা নিহতদের দেহ গন্তব্যস্থলে পৌঁছানাো যাচ্ছে না জলের কারণে। বাতিল করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ছুটি।
এমন পরিস্থিতি থেকে কবে রেহাই মিলবে তা সঠিক জানেন না কেউই। শনিবার সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও নৌবাহিনীর সদস্যরাও ময়দানে রয়েছেন। মানুষের এই অভাবনীয় দুর্যোগে ও অপরিসীম দুর্ভোগে সকলের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্মরণকালের এমন ভয়াবহ বন্যার কবলে পুরেনি সিলেট বিভাগ।
সিলেটের বন্যা বাংলাদেশের আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা এখন জলের নীচে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা ডুবে গেছে। বাকি তিন জেলার শহরের কিছু উঁচু স্থান, পাহাড়ি এলাকা এবং ভবন ছাড়া সবখানে এখন জল। আগামী দুই দিনে এই জল আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সিলেট কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রে বন্যার জল উঠে যাওয়ায় পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আব্দুল কাদের জানান, জল উঠে যাওয়ায় সাব স্টেশনটি বন্ধ করা হয়। তবে জল নামিয়ে ৮ ঘন্টা পর এটি আবার চালু করতে হয়। এরআগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে এাই সাব স্টেশনে জল উঠতে শুরু করে। শুক্রবার দুপুর থেকে এই কেন্দ্র সচল রাখতে যৌথভাবে কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে বাঁধ নির্মাণ করেন তারা। তবে জল দ্রুত বাড়তে থাকায় বন্ধ করে দিতে হয় উপকেন্দ্রটি।
সিলেটে বন্যা দুর্গত এলাকায় জলবন্দি লোকজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী তৎপর রয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন, ৬টি মেডিকেল টিম ও শনিবার সকাল থেকে নৌবাহিনীর ৩৫ সদস্য দুটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছে।
সিলেটে বন্যা দুর্গত এলাকায় জলবন্দি লোকজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী তৎপর রয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন, ৬টি মেডিকেল টিম ও শনিবার সকাল থেকে নৌবাহিনীর ৩৫ সদস্য দুটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছে।
সিলেট থেকে লন্ডনগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানবন্দরের রানওয়েতে বন্যার জল চলে আসায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফ্লাইট বন্ধ থাকবে বুধবার পর্যন্ত। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।