ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের সরবরাহ সঙ্কটে বাংলাদেশে টিকাদান কার্য্যক্রম সমস্যায় পড়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাশিয়ার তৈরি কোরনা টিকা ‘স্পুটনিক-ভি’-কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ সরকার। সেদেশর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ২৪ এপ্রিল এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করা হয়েছিল। মঙ্গলবারে তা অনুমোদন পেল। তাঁর কথায়, “আমরা আজ এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিলাম। এখন এটা বাংলাদেশে আমদানি ও ব্যবহারে কোনো বাধা রইল না।”
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গত ৮ জানুয়ারি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আমদানি ও দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ‘স্পুটনিক-ভি’ হল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় টিকা, যা বাংলাদেশের মানুষের ওপর প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হল। এর আগে পাবনার রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য স্পুচনিক-ভি টিকার এক হাজার ডোজ বাংলাদেশ আনার অনুমতি দিয়েছিল হাসিনা সরকার। তবে তা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ছিল না। জানা যাচ্ছে মে মাসের মধ্যেই এই টিকাটি বাংলাদেশে আসবে । প্রথমে ৪০ লাখ টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পাশাপাশি এই টিকাটি বাংলাদেশে দেয়া হবে।
ভারতের নত না হলেও কোভিড-১৯- এর দ্বিতীয় ধাক্কায় কাবু বাংলাদেশও। সংক্রমণ ও উচ্চহারে মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশকে সাহায্য করতে হাত বাড়িয়েছে রাশিয়া। রুশ ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ উৎপাদনে ইতিমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিও করেছে বাংলাদেশ । রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও বাংলাদেশ টিকা কিনবে। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশকে শর্ত দিয়েছে রাশিয়া। ওই টিকা উৎপাদনের ফর্মুলা গোপন রাখতে হবে বাংলাদেশকে, তা কাউকে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছিলেন।