ISKCON Temple Bangladesh: বাংলাদেশ ধর্মস্থানের ওপর হামলার ঘটনায় থামছেই না। এবার অভিযোগ উঠল ইসকন (ISKCON)-র মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ভক্তদের মারধরও করা হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেছে, ইসকন।
এর আগে পুজোমণ্ডপ ভাঙচুরের অভিযোগ
দিন কয়েক আগে অভিযোগ উঠেছিল, সেখানকার বেশ কয়েকটি জায়গায় পুজোমণ্ডপ ভাঙচুর করা হয়। তবে তারপরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina) কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন কাউকে রেয়াত করা হবে না। তাঁর হুঁশিয়ারির পরও হিংসা থামল না। এরই মাঝে ধর্মস্থানে গোলমালের অভিযোগ উঠল।
নোয়াখালির ঘটনা
জানা গিয়েছে, এটি বাংলাদেশের নোয়াখালির ঘটনা। সেখানে একদল মানুষ ইসকন (ISKCON) মন্দিরের ওপর হামলা করে। আর সেখানে তুমুল ভাঙচুর করেছে। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন একজন ভক্ত। তাঁদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইসকনের দাবি
ইসকন (ISKCON)-র তরফ থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। এবং তারা এই ঘটনার ব্যাপারে জানিয়েছে। তারা বেশ কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছে। টুইটে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের নোয়াখালিতে আজ ইসকনের মন্দির এবং ভক্তদের ওপর চড়াও হয় একদল মানুষ। মন্দিরের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকজন ভক্তের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ।
ISKCON temple & devotees were violently attacked today by a mob in Noakhali, Bangladesh. Temple suffered significant damage & the condition of a devotee remains critical.
— ISKCON (@iskcon) October 15, 2021
We call on the Govt of Bangladesh to ensure the safety of all Hindus & bring the perpetrators to justice. pic.twitter.com/ZpHtB48lZi
বাংলাদেশ সরকারের ইসকন (ISKCON) মন্দির কর্তৃপক্ষের আর্জি, আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করছি, হিন্দুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করুন এবং এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
সোশাল মিডিয়া পোস্ট
এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, কোরানকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তারপর গোলমাল শুরু হয়ে যায়। এর পর বেশ কিছু দুর্গাপুজো মণ্ডপে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সেখানে পুলিশকর্মী নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়।
বিডিনিউজ২৪-এর একটা রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় এক পুজোমণ্ডপে কোরানের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তারপরেই একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এবং এরপর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় বলে খবর।
ছড়িয়েছে হিংসা
তা যেন ছড়িয়ে পড়তে থাকে চাঁদপুরের হাবিবগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়া আর শিবগঞ্জের চাঁপাইনবাবগঞ্জের। এই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এরপর বাংলাদেশ হিন্দু ইউনিটি কাউন্সিলের তরফের টুইট করা হয়েছিল।
সেখানে দাবি করা হয়েছে, ১৩ অক্টোবর, ২০২১ বাংলাদেশের ইতিহাসে নিন্দনীয় দিন। অষ্টমীর দিন বিসর্জনের সময় বেশ কয়েকটি পুজোমণ্ডপে ভাঙচুর করা হয়েছে। হিন্দুরা পুজামণ্ডপের নিরাপত্তার কাজ করছেন। আজ পুরো দুনিয়া চুপ রয়েছে। মা দুর্গার নিজের আশীর্বাদ দুনিয়ার সব হিন্দুর ওপর বজায় রাখুন।