scorecardresearch
 

Onion Price: বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ল ২২৩%, রমজানের আবহে ভারতের দিকেই তাকিয়ে ঢাকা

পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে চলেছে। এদিকে রমজানের আগেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম যেমনে বাড়তে শুরু করেছে তাতে ক্রমেই চিন্তার ভাজ গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশবাসীর। রমজানের বাকি আর এক দিন। এরই মধ্যে ঢাকার বাজারে বেড়েছে সব রকমের জিনিসপত্রের দাম। নিত্যপণ্যের দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে, যা গত বছর ছিল ৩০-৩৫ টাকা।

Advertisement
 গত রমজানের তুলনায় এবার দাম বেড়েছে ২২৩ শতাংশ গত রমজানের তুলনায় এবার দাম বেড়েছে ২২৩ শতাংশ

পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে চলেছে। এদিকে রমজানের আগেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম যেমনে বাড়তে শুরু করেছে তাতে ক্রমেই চিন্তার ভাজ গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশবাসীর।  রমজানের বাকি আর এক দিন। এরই মধ্যে ঢাকার বাজারে বেড়েছে সব রকমের জিনিসপত্রের দাম। নিত্যপণ্যের দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে, যা গত বছর ছিল ৩০-৩৫ টাকা। শতাংশের হিসেবে এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২২৩ শতাংশ।

শুধু পেঁয়াজ নয় ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনি, খেজুরসহ অন্যান্য ফল, ডাল, মুড়ি, আলু, বেগুন, ইসবগুল, কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা, লেবু, পুদিনা পাতা, সস এবং জুস আরও যেসব পণ্য আছে তার সবকিছুরই দাম বেড়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে। এসব পণ্যের বেশিরভাগই ইফতার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। দুই দিনে রাজধানী ঢাকার  মিরপুর, পূর্ব শেওড়াপাড়া, কচুক্ষেত, ইব্রাহিমপুর এবং কারওয়ান বাজারসহ পাঁচটি কাঁচাবাজারের চিত্র একই রকম। পণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ পণ্যের দাম আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।

সরবরাহ সংকটের কারণে রাজধানী ঢাকার কাঁচাবাজারে গতবছরের তুলনায় গড়ে ৮০ শতাংশ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গতবছরের একই সময়ের তুলনায় খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৮৫ শতাংশ ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে, বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫০-১৬০ টাকা দরে এবং আমদানি করা পেঁয়াজ জাতভেদে কেজি প্রতি ৬০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতবছর একই সময়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০-২৬ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০ টাকা।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্যমতে, বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২২ থেকে ২৫ লাখ টন। দেশে বার্ষিক পেঁয়াজের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি গত দশকে আমদানি করা পেঁয়াজের পরিমাণও বেড়েছে। গতবছর ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞার ফলে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে যায়। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দুইশ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এর পর ভরা মরশুমেও দেশে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নামেনি। এই আবহে বাংলাদেশে আরও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। ভারতের রফতানি কারকরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে।

Advertisement

শিগগিরিই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।  রবিবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিগগিরিই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ বাড়াবে। সারাদেশে টিসিবির ১ কোটি মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার মাধ্যমে বাজারে চাপ কমবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাধারণ মানুষকে যৌক্তিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য কাজ করছে সরকার।

Advertisement