ভারতের মতোই প্রতিবেশী বাংলাদেশেও ক্রমে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে একদিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। এই নিয়ে বাংলাদেশে কোভিড ১৯-এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮২২। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২০১ জন। এতে প্রতিবেশী দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জন।
সোমবার বাংলাদেশেরর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েচে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ৩৬ হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ লাখ ৩৭ হাজার ৮৩৩টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্তের হার ২০. ৫৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্তের হার ১৩.৭৪ শতাংশ।
এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে ১৪ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন আরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা করছে হাসিনা সরকার। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিন দেশের সব অফিস-আদালত, শপিংমল, দোকানপাট, হাটবাজার বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সব ধরনের পরিবহন চলাচলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তব পোশাক কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখা যাবে। ৭ দিনের এই বিধিনিষেধের মধ্যে যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন হবে তাদের জন্য ‘মুভমেন্ট পাসে’র ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ পুলিশ। এই পাসধারী ব্যক্তি বাধাহীনভাবে সড়কে চলাচল করতে পারবেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে ২০ তারিখ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল হাসিনা সরকার। অভ্যন্তরীণ রুটেও কোন বিমান চলবে না এই সময়ে।গত পাঁচই এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তখন থেকেই অভ্যন্তরীণ সব রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রবিবার সেই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার মেয়াদ বারিয়ে দেওয়া হয়েছে।