সোমবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের ১২৫তম জন্মদিন। গোটা ব্রিটিশ সামাজ্যকে যিনি নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন, তিনি সুভাষ চন্দ্র বসু। তাইতো মৃত্যুর এত বছর পরও সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই। ব্রিটিশ রাজ থেকে ভারতকে মুক্ত করতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। নেতাজির মৃত্যু নিয়ে একাধিক তথ্য সামনে আসলেও এখনও পর্যন্ত কোনও আকাট্য প্রমাণ মেলেনি। ফলে নেতাজির মৃত্যু আজও যেন ধোঁয়াশা প্রায় গেটা দেশের মানুষের কাছে। সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে বাংলা হোক বা হিন্দি একাধিক ভাষায় সিনেমা তৈরি হয়েছে। শ্যাম বেনেগাল থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, দেশের প্রথম সারির একাধিক পরিচালক নেতাজিকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সিনেমা তৈরি করেছেন।
রাগ দেশ (২০১৭)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই সিনেমা। সেই সময় ভারতীয় সেনা পরিচালনা করতেন সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনি সেই সময় দেশে ফিরে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিয়োগ শুরু করেন। এই সিনেমাটি তাঁদের পুরো সফরের ওপর তৈরি এবং অবশ্যই এটা দেখতে হবে। এই সিনেমার পরিচালক ত্রিগমাংশু ধুলিয়া, সিনেমায় অভিনয় করেছেন কুণাল কাপুর, অমিত সাধ, মোহিত মারওয়া, বিজয় বর্মা ও মৃদুলা মুরালি।
বোস: ডেড/অ্যালাইভ (২০১৭)
২০১২ সালে অনুজ ধরের বই ইন্ডিয়াস বিগেস্ত কভার-আপ-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এই ওয়েব সিরিজ। এই সিরিজের প্রযোজক ছিলেন একতা কাপুর। নটি অংশে এই সিরিজে দেখানো হয়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অব্যক্ত মৃত্যুকে ঘিরে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উপর কেন্দ্রীভূত। সিরিজটির লক্ষ্য তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির বেঁচে থাকার সম্ভাবনার তদন্ত করা। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার রাও।
গুমনামি (২০১৯)
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত গুমনামি সিনেমায় দেখানো হয়েছে নেতাজিকে নিয়ে করা বেশ কিছু কমিশনের তদন্তকে। যে ছবির নাম ভূমিকায় দেখা যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে কী হয়, সে বিষয়ে বেশ কিছু যুক্তি দেওয়া হয় গুমনামি-তে। এই সিনেমায় গুমনামি বাবা হয়ত সুভাষ চন্দ্র বোস এই তথ্যটিকে প্রমাণ করা হয়েছে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস: দ্য ফরগটেন হিরো (২০০৪)
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস:দ্য ফরগটেন হিরো তৈরি করেনপরিচালক শ্যাম বেনেগাল। ২০০৪ সালে মুক্তি পায় এই সিনেমা। ভারতকে স্বাধীন করতে নেতাজি কীভাবে আজাদ-হিন্দ-ফৌজ গঠন করেন, তার বেশ কিছুটা বিবরণ দেওয়া হয় এই ছবিতে। সিনেমায় প্রধান চরিত্রে দেখা যায় সচিন খেদেলকর, যিনি এই সিনেমার জন্য দুটি জাতীয় পুরষ্কার জিতে ছিলেন। এছাড়াও এই সিনেমায় অভিনয় করেন যীশু সেনগুপ্ত, কুলবুশন খারবান্দা ও দিব্যা দত্তা।
সমাধি (১৯৫০)
পরিচালক রমেশ সায়গল তৈরি করেন সমাধি, এটি একটি স্পাই-থ্রিলার সিনেমা ছিল। সুভাষ চন্দ্র বসুর নীতি, নিয়ম-সহ জীবনের বেশ কিছু অংশ তুলে ধরা হয় এই ছবিতে।