Nawazuddin Siddiqui : বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী গত কয়েকদিন ধরেই লাইমলাইটে রয়েছেন। তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে চলা বিরোধের কারণে, তিনি তার পেশাগত জীবনের চেয়ে তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য বেশি চর্চায় রয়েছেন। বর্তমানে তার 'জোগিরা সারা রা' সিনেমার জন্য শিরোনামে রয়েছেন, যেখানে তাকে একজন রোমান্টিক যুবকের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। কেরিয়ারের প্রথম দিকে নওয়াজউদ্দিন একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি তার চেহারাকে ঘৃণা করতেন। রমন রাঘব সিনেমার একটি গল্প শেয়ার করে, অভিনেতা বলেছিলেন যে তিনি যখন সন্ধ্যায় বাড়ি যেতেন, তখন তিনি নিজেকে ভয় পেতেন। এমনকি আয়নায় নিজেকে দেখলেও লজ্জা পেয়ে যেতেন।
আজতকের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় অভনওয়াজউদ্দিন বলেন, 'এমন অনেক চরিত্রও ছিল, যেগুলো বাস্তব জীবনেও দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। 'রমন রাঘব', 'ফটোগ্রাফার' আমার কঠিন ছবিগুলোর একটি। এই প্রক্রিয়া পাগল করে দেওয়ার মত ছিল। যখন আমি 'রমন রাঘব'-এর জন্য প্রস্তুত হলাম, তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। শুটিংয়ের এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত আমি লোনাভালার কিছু ইন্টিরিওর জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। একটা ছোট জায়গায় থাকতাম। সন্ধ্যা হলেই নিজেকে ভয় পেতাম। আয়না দেখে ভয় পেতাম।
তাহলে কীভাবে নিজেকে এর থেকে বের করে আনলেন নওয়াজ...
অভিনেতার জবাব, আপনার ভিতরে একটা তৃতীয় চোখ আছে। সে হয়তো জেগে গিয়েছিল । আমি এতটাই বিচলিত ছিলাম যে আমি ভয় পেয়েছিলাম যে আমি আত্মহত্যা করতে পারি। এদিকে নিজেকে বোঝাতাম, এটা হতে পারে না, আমার নিজের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। আমি আত্মহত্যা করতে পারি না। আমি মুম্বই পৌঁছে এর শুটিং শুরু করি। আমার সেই প্রথম দৃশ্যটি মনে আছে, যেখানে আমি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বসে সিগারেট খাচ্ছি এবং আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে। সেই সময়ে আমার জাস্টিফিকেশনের মধ্যে অ্যাবসার্ডিটি মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। সেই সময়ে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে অ্যাবসার্ডিটি সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। মানুষ স্যাডিস্ট, কেউ তাদের কাজের মাধ্যমে বের করে দেয় এবং কেউ তাদের নিজের ভিতরে লুকিয়ে রাখে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিনেত্রী নেহা শর্মাকে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা যাবে 'জোগিরা সারা রা' ছবিতে। নওয়াজের ভক্তরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
এদিকে নওয়াজের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গেলে ক্ষমা চেয়েছেন তার স্ত্রী আলিয়া। সেই সঙ্গে নওয়াজউদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, 'হ্যালো নওয়াজ.. এই চিঠিটি আপনার জন্য এবং আমি অনেক জায়গায় পড়েছি যে জীবন এগিয়ে চলার নাম। গত কয়েক মাসে আমাদের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা ভুলে গিয়ে, আমার ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে, আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে এবং আপনার ভুলগুলি ক্ষমা করে, আমি আমার ভবিষ্যত গঠনের চেষ্টা করব। অতীতে আটকে থাকা একটি গোলকধাঁধায় আটকে যাওয়ার মতোই। তাই এই অতীতকে পেছনে ফেলে আমরা শপথ নিই আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎকে সোনার আলোয় ভরিয়ে দেব। যদিও পরে আলিয়া তার ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে এই পোস্টটি মুছে দিয়েছেন।