scorecardresearch
 

Amitabh Bachchan 80th Birthday: 'ফেলুদা' চরিত্রে অমিতাভকে যখন ভেবেছিলেন সত্যজিত্‍

সত্যজিত্‍ রায়ের অফার বলে কথা! অভিনেতার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন সত্যজিতের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাও আবার বাঙালির হিরো ফেলুদার চরিত্র। আজ অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিন (Amitabh Bachchan 80th Birthday)।

Advertisement
সত্যজিত্‍ রায় ও অমিতাভ বচ্চন সত্যজিত্‍ রায় ও অমিতাভ বচ্চন
হাইলাইটস
  • সত্যজিতের রায়ের অফার ফিরিয়েছিলেন
  • ফেলুদার চরিত্রে ভাবা হয়েছিল অমিতাভকে
  • কলকাতায় বেশির রাত কাটত ফুচকা খেয়ে

Amitabh Bachchan Birthday: বলা হয়, ভাল পরিচালকরা যে কোনও অভিনেতাকে দিয়েই অভিনয় করিয়ে নিতে পারেন। আবার কোন অভিনেতাকে কোন চরিত্রে মানাবে, সেই তীক্ষ্ণ চোখও এক ভাল পরিচালকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট। ঠিক যেমন সত্যজিত্‍ রায়ের (Satyajit Ray) চোখ চিনে নিয়েছিল অমিতাভ বচ্চনকে (Amitabh Bachchan)। বলিউডের বিগ বি। কলকাতার মানুষ অবশ্য তাঁকে জামাইবাবু বলে ডাকতেই স্বচ্ছন্দ।

সত্যজিতের রায়ের অফার ফিরিয়েছিলেন

সত্যজিত্‍ রায়ের অফার বলে কথা! অভিনেতার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন সত্যজিতের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাও আবার বাঙালির হিরো ফেলুদার চরিত্র। আজ অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিন (Amitabh Bachchan 80th Birthday)। ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে বড় তারকার জন্মদিনে জেনে নেওয়া যাক, অস্কারজয়ী পরিচালকের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল ফেলুদা চরিত্র নিয়ে।

ফেলুদার চরিত্রে ভাবা হয়েছিল অমিতাভকে

সত্যজিত্‍-পুত্র সন্দীপ রায় এক সাক্ষাত্‍কারে জানান, তাঁরা 'যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে' গল্পটিকেই হিন্দিতে 'কিসসা কাঠমাণ্ডু কা' করতে চেয়েছিলেন সত্যজিত্‍। সেই হিন্দি ভার্সানে ফেলুদা হিসেবে অমিতাভকেই বাছাই করেন তিনি। সেই মতো কথাবার্তাও অনেকটা এগোয়। কিন্তু শ্যুটিংয়ের জন্য যতটা সময় লাগতো, ওতো সময় দিতে পারেননি অমিতাভ। যার নির্যাস, শেষ পর্যন্ত ফেলুদা চরিত্র থেকে বাদ দিতে হয় অমিতাভকে।

সত্যজিত্‍ রায় ও ফেলুদা স্কেচ
সত্যজিত্‍ রায় ও ফেলুদা স্কেচ

কিন্তু সত্যজিত্‍ জাত চিনেছিলেন। 'শতরঞ্জ কে খিলাড়ি' ছবিতে অমিতাভের ঋষি-তুল্য গলাকে ডাবিংয়ে ব্যবহার করেছিলেন বিশ্বসিনেমার মানিক। 

কলকাতায় বেশির রাত কাটত ফুচকা খেয়ে

অমিতাভের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক তো অবিচ্ছেদ্যই। বিগ বি একাধিক ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন, এলাহাবাদ থেকে সামান্য কিছু টাকা হাতে নিয়ে এসে পড়েছিলেন কলকাতায়। শুরু করেছিলেন চাকরি। মাইনে চারশো সত্তর টাকা। থাকতেন টালিগঞ্জের বাবার এক বন্ধুর বাড়িতে। ট্রাম ধরে এসপ্ল্যানেড যেতেন। পোশাক বলতে ছিল সবেধন নীলমণি জ্যাকেট-ট্রাউজার এবং একটি টাই। দুপুরের খাবার অফিসেই মিলত নিখরচায়। রাতে বেশির ভাগ দিনই ফুচকা খেয়ে কাটত। 

Advertisement

Advertisement