বিজেপি সাংসদ এবং অভিনেতা সানি দেওল আজতকের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন যে তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তিনি বলেন, অভিনেতা থাকাটাই আমার পছন্দ। আমি মনে করি একজন অভিনেতা হিসেবে দেশের সেবা করা উচিত, যা আমি করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, তুমি একটাই কাজ করতে পারো। একসঙ্গে অনেক কাজ করা অসম্ভব। যে চিন্তা নিয়ে রাজনীতিতে এসেছি, অভিনেতা হয়েও সেসব কাজ করতে পারি।
সানি বলেন, অভিনয় জগতে আমার মন যা চায় তাই করতে পারি। কিন্তু আমি যদি রাজনীতিতে কিছু কমিট করি এবং তা পূরণ করতে না পারি, তাহলে সেটা সহ্য করতে পারি না। আমি এটা করতে পারব না। সানি দেওলের সাংসদ হিসেবে লোকসভায় উপস্থিতি মাত্র ১৯ শতাংশ, এ প্রসঙ্গে সানি দেওল বলেন, আমি সংসদে গেলে দেখি, দেশ চালানোর লোকেরা এখানে বসে আছেন, সব দলের নেতারা বসে আছেন। কিন্তু এখানে এরা কীভাবে আচরণ করেন যখন আমরা অন্য লোকেদের এমন আচরণ না করতে বলি। তিনি বলেন, এসব দেখলে মনে হয় আমি এমন নই, অন্য কোথাও যাওয়াই ভালো। তিনি আরও বলেন, আমি এখন কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না।
BREAKING : I will NOT contest Lok Sabha election says #SunnyDeol pic.twitter.com/bZUY1HsOk4
আরও পড়ুন
— Sudhir Chaudhary (@sudhirchaudhary) August 21, 2023
২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে নির্বাচন লড়েন
চলচ্চিত্র অভিনেতা সানি দেওল ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন, সানি ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে পঞ্জাবের গুরুদাসপুর লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জনতাও তাঁকে হতাশ করেননি। গুরুদাসপুরের মানুষ সানি দেওলকে ৮৪ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে বিশাল জয় দিয়ে লোকসভায় পাঠিয়েছিল।
গুরুদাসপুরে বিক্ষোভ
সানি দেওল নির্বাচনী প্রচারের সময় লোকসভা কেন্দ্রের জনগণকে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করা তো দূরের কথা, জয়ের পর তিনি গুরুদাসপুরে যাননি। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। বিরোধীরাও সানি দেওলের নির্বাচনী এলাকায় লাগাতার অনুপস্থিতি এবং লোকসভায় অনুপস্থিতিকেও ইস্যু করতে শুরু করেছে।সম্প্রতি গুরুদাসপুরে তার বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে অসন্তোষ প্রকাশ
গুরুদাসপুরের মহল্লা সন্ত নগরের লোকেরাও সানি দেওলের সদস্যপদ বাতিলের দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছিল। অমরজোত সিং তার চিঠিতে লিখেছেন যে সানি দেওল প্রায় চার বছর ধরে তার লোকসভা কেন্দ্রে অনুপস্থিত। গুরুদাসপুরের মানুষ তাকে অনেক আশা নিয়ে নির্বাচিত করেছিল।
আয়ের দিক দিয়ে অনেক রেকর্ড ভেঙেছে গদর-২
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সানি দেওলের ছবি গদর-২। আয়ের দিক থেকে এই সিনেমা রেকর্ড তৈরি করেছে । 'পাঠান'-এর পর এবার 'গদর ২'ও ৫০০ কোটির লক্ষ্য অতিক্রম করবে বলেই মনে হচ্ছে। সানি দেওলের 'গদর ২' ১০ দিনে এমন কীর্তি করেছে যা কেউ আশাও করেনি। 'গদর ২', যা ৮ দিনে ৩০০ কোটি পেরিয়েছে, এখন বলিউডের সবচেয়ে বড় ছবি 'পাঠান'-কেও প্রতিযোগিতায় ফেলে দিয়েছে।