কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় পুরসভার ভাঙচুরের নোটিসকে বেআইনি বলল বম্বে হাইকোর্ট।
মুম্বইয়ের পালি হিলে কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় মুম্বইয়ের পুরসভার ভাঙচুরের নোটিসকে বেআইনি বলে ঘোষণা করল আদালত। আদালত আরও জানিয়েছে, কঙ্গনার পালি হিলের যে অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে, তা নতুন করে বাসস্থানযোগ্য করে তুলতে পারবেন কঙ্গনা। পাশাপাশি ভাঙচুরের জেরে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। বিএমসির ভাঙচুরের জেরে কঙ্গনার অফিসের যে ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেও জানানো হয়েছে বম্বে হাইকোর্টের তরফ থেকে। স্বস্তিতে কঙ্গনা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে।
When individual stands against the government and wins, it’s not the victory of the individual but it’s the victory of the democracy.
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) November 27, 2020
Thank you everyone who gave me courage and thanks to those who laughed at my broken dreams.
Its only cause you play a villain so I can be a HERO. https://t.co/pYkO6OOcBr
আদালতের এমন নির্দেশের পর টুইট করে লেখেন, ''কেউ যখন সরকারের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান এবং তাতে জয়ী হন, তাঁর সেই জয় নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, তখন ওই জয় আসলে গণতন্ত্রের জয়।'' এই সময়ে তাঁর পাশে থাকার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ভেঙে যাওয়া স্বপ্নকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। তার শুভেচ্ছাও চেয়েছেন সকলের কাছে। কঙ্গনা টুইটে আরও লেখেন যে, এই বিষয়ে সরকার 'ভিলেন' হয়েছেন, আর তিনি নিজেকে 'হিরো' বলে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত বান্দ্রার পালি হিলে ৫ নম্বর বাংলোতে কঙ্গনার অফিস 'মণিকর্ণিকা ফিল্মস'। এই বাংলোর নির্মাণে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে গত ৭ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রীকে নোটিস পাঠায় বিএমসি। কঙ্গনার তরফে কোনও জবাব না পেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর ওই বাংলো ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিনই বুলডোজার দিয়ে বাংলো ভাঙতে শুরু করেন পুরসভার কর্মী-আধিকারিকরা। বাইরে মোতায়েন করা ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী।