রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিকের জামিন মঞ্জুর করল আদালত। গ্রেফতারের প্রায় তিন মাস পর অবশেষে জামিন সৌভিকের। জামিন মঞ্জুর করেছে মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালত।
ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর মাদক নেওয়া এবং পাচারের অভিযোগে গত ৪ সেপ্টেম্বর রিয়া চক্রর্তীর ভাই সৌভিককে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও। এর কিছুদিন পরই রিয়া চক্রবর্তীকেও গ্রেফতার করে এনসিবি। ২৮ দিন জেলে থাকার পর গত ৭ অক্টোবর রিয়ার জামিন মঞ্জুর হয়। সৌভিকের জামিনের আর্জি খারিজ হয় সে সময়।
মাদক মামলার তদন্ত চলাকালীন এনসিবি সৌভিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অনেক প্রমাণ পেয়েছিল। সৌভিক, রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বসিত, জায়েদ সংযোগ সহ এমন অনেক কিছুই প্রকাশ পেয়েছিল যার কারণে এনসিবি সৌভিককে গ্রেফতার করে বড় পদক্ষেপ নেয়। এনডিপিএস আইনের ৮সি, ২৮ ও ২৯ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌভিককে। সৌভিক ছাড়াও সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও এই ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌভিক চক্রবর্তীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বড় মাদক ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছিল। এমনও খবর, সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য সৌভিকই ওষুধের ব্যবস্থা করেছিলেন। ভাইরাল চ্যাটের রিপোর্ট অনুযায়ী, রিয়া নিজেই তাঁর ভাই সৌভিকের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার সুশান্তের জন্য ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন। এই প্রমাণের ভিত্তিতেই এনসিবি সৌভিকের বিরুদ্ধে মামলা করে।
২৮ দিন জেলে থাকার পর গত ৭ অক্টোবর রিয়ার জামিন মঞ্জুর হয়। সৌভিকের জামিনের আর্জি খারিজ হয় সে সময়। অবশেষে আজ, বুধবার জামিন পেলেন সৌভিক চক্রবর্তী। স্পোশাল এনডিপিএস কোর্টের তরফে বুধবার সৌভিকের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
১৪ জুন ব্যান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে মৃত্যু হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরই রিয়া চক্রবর্তী সহ তাঁর গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে পাটনার থানায় এফআইআর দায়ের করেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা কে কে সিং। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য কে বা কারা দায়ি, তাঁদের শাস্তির দাবিতে অনড় সুশান্তের পরিবার সহ তাঁর অনুরাগীরাও। দেশ জুড়ে শোরগোল অব্যাহত।