গত প্রায় চার দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন কুমার সানু। নয়ের দশকে কুমার শানু রোম্যান্টিক গানগুলি আজও শ্রোতাদের মনে গেঁথে রয়েছে। একের পর এক সুপারহিট গানে তিনি মন জয় করেছেন সকলের। সম্প্রতি 'বন্দুক ও গুলাব' ছবির 'দো রাজি' গানটি গেয়েছেন তিনি। নয়ের দশকের ফ্লেভারে তৈরি এই গানটি ফ্যানেরা বেশ পছন্দ করছেন।
কেরিয়ারে একাধিক মিউজিক্যাল হিট রয়েছে কুমার সানুর। তাঁর জনপ্রিয়তা এমন ছিল যে সমস্ত প্রথম সারির পরিচালক ও প্রযোজকরা চাইতেন, তাঁদের ছবিতে সানুই গান করুক। তখন মনে করা হত, যে কোনও ছবিতে কুমার সানুর একটি গান থাকলে, ছবিটি হিট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
সম্প্রতি আজতক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে কথা বলেন কুমার সানু। তিনি বলেন, "হ্যাঁ, কেরিয়ারের জার্নিতে নয়ের দশকে অনেক উপভোগ করেছি। এই জন্য, আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে, ইন্ডাস্ট্রি আমায় যোগ্য মনে করেছে এবং আমায় এত সুযোগ দিয়েছে। যদিও আমার পা সব সময় মাটির সঙ্গে লেগে থাকত। আমি এতটাই সন্তুষ্ট যে, আমি যে গানই গেয়েছি, মন থেকে গেয়েছি এবং কখনও কোনও গানের প্রতি অবিচার করিনি।"
জাতীয় পুরস্কার না পাওয়ার কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে কুমার সানুর। তিনি বলেন, "আমাকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া উচিত এটা ঠিক। আমার পদ্মভূষণও পাওয়া উচিত ছিল। যদি বলি আমার মন খারাপ হয় না, তাহলে ভুল হবে। আমার এমন অনেক কিছু পাওয়া উচিত ছিল, যা পাইনি। যদিও এটা এখন কোনও ব্যাপার না। খুব কষ্ট হয়, যখন দেখি এত কিছু অর্জনের পরও পুরস্কার পাইনি, তখন খারাপ লাগে। এখন এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।"
কুমার সানু যোগ করেন, "আসলে আমি বুঝতে পেরেছি যে, আপনার যদি সেখানে যোগাযোগ না থাকে এবং কীভাবে তেল মারতে হয়, তা আপনি না জানলে, এই পুরস্কার পাওয়া সম্ভব না। এখন শ্রোতারাও বুঝতে পেরেছেন, দৃষ্টিভঙ্গি শক্তিশালী হলে, তবেই এরকম পুরস্কার পাওয়া সম্ভব। ঠিক আছে কিছু মনে করিনি। আমার এতটা নাগাল নেই.. কোনও তথ্য নেই। তাই হয়তো মিস করেছেন। ঠিক আছে, সরকার যদি মনে করে, তাহলে অবশ্যই পুরস্কার দেবে, নইলে কী করা যায়। কারও বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।"