চলচ্চিত্র নির্মাতা সুভাষ ঘাইকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ঘন ঘন মাথা ঘোরা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এবং কথা বলতে অসুবিধার কারণে বুধবার সন্ধ্যায় ঘাইকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। যদিও তাঁর অফিসের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যে চলচ্চিত্র নির্মাতাকে রুটিন চেকআপের জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা জানাতে চাই যে সুভাষ ঘাই একেবারে ভাল আছেন। তাঁকে রুটিন চেকআপের জন্য ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ভালবাসা এবং উদ্বেগের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।'
সুভাষ ঘাই 'রাম লক্ষণ', 'খলনায়ক', 'পরদেশ', 'তাল'-র মতো বহু বিখ্যাত সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বহু পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পাশাপাশি সুভাষ ঘাই 'কালীচরণ', 'কার্জ', 'সওদাগর', 'হিরো', 'বিধাতা', 'মেরি জং', 'কর্মা'-এর মতো বহু ছবি পরিচালনা করেছেন। ২০১৪ সালে শেষবার 'কাঁচি' ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য সুভাষ ঘাই বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নব্বই দশকের অভিনেতা ও বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে কথা বলেছেন পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি বলেন, নব্বই দশকের অভিনেতারা চলচ্চিত্রের সঙ্গে আবেগগতভাবে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে সব অভিনেতাই পেশাগতভাবে যুক্ত।
নাগপুরে জন্ম নেওয়া সুভাষ প্রথম থেকেই অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। অভিনেতা হিসাবে বলিউডে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। 'তকদীর' এবং 'আরাধনা'-এর মতো ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। পরে তিনি 'উমং' এবং 'গুমরাহ'-এর মতো ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। যাইহোক, একজন অভিনেতা হিসাবে তাঁর ক্যারিয়ার খুব বেশি সাফল্য দেখতে পায়নি, পরে তিনি পরিচালনা করতে শুরু করেন। সম্প্রতি, গোয়ায় ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসেছিলেন সুভাষ ঘাই। অনেক অভিনেতাকে তিনি সুপারস্টার বানিয়েছেন। রাজ কাপুরের পর সুভাষ ঘাইকে বলিউডের দ্বিতীয় শোম্যান বলা হয়। ২০০৬ সালে 'ইকবাল' ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারেও ভূষিত হন।