একদিকে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ডেবিউ আবার অন্যদিকে নিজের প্রথম মিউজিক অ্যালবাম, বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কেটেছে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর জীবন। সামনেই আবার লোকসভা নির্বাচন। ব্যস্ততা তো বাড়বেই। তাই এর মাঝেই ফাঁক পেতে ভ্যাকেশনে চলে গেলেন মিমি। তবে এইবার একা বা মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে নয়। বরং বিশেষ একজনকে নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন সমুদ্রের ধারে। মিমি এবং সেই ব্যক্তি দুজনেই তাঁদের ঘোরা ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
এমনিতে মিমির সেভাবে কোনও বন্ধু-বান্ধব নেই। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ব্রেকআপের পর মিমি কাজকেই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। অভিনেত্রীকে সেভাবে পার্টি বা কোনও ইভেন্টে দেখা যায় না। শ্যুটিং ও রাজনৈতিক কাজ থেকে অবসর পেলেই মিমি সময় কাটাতে ভালোবাসেন তাঁর পোষ্যদের সঙ্গেই। তবে এইসব কিছুর বাইরেও মিমির কিন্তু এক বিশেষ বন্ধু রয়েছেন, যিনি নিজেও এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। তিনি হলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। আর অনিন্দ্যর সঙ্গেই মিমি ঘুরতে গিয়েছেন। কোথায় গিয়েছেন তা খোলসা করে না বললেও, মনে হচ্ছে মিমি ও অনিন্দ্য আন্দামানেই গেছেন।
মিমি তাঁর ইনস্ট্রাগ্রাম স্টোরিতে যে ছবি পোস্ট করেছেন তাতে দেখা গিয়েছে সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে তাঁরা। মিমির পিছনেই দেখা গিয়েছে অনিন্দ্যকে। অপরদিকে অনিন্দ্য এই ছবি তাঁর ইনস্টা স্টোরিতে পোস্ট করার পাশাপাশি নিজেও নতুন এক ছবি দিয়েছেন। যেখানে বোটের মধ্যে অনিন্দ্য ও মিমিকে নিয়ে সেলফি নিচ্ছেন অন্য একজন। আর এই ছবি সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তবে কি মিমি ও অনিন্দ্যর মধ্যে কিছু চলছে? আগেও তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কাঁটাছেঁড়া হলেও মিমি ও অনিন্দ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁরা শুধুই ভাল বন্ধু ছাড়া আর কিছুই নয়।
জন্মদিন হোক বা এমনি কোনও দিন অথবা উইকেন্ড মিমি ও অনিন্দ্য একে-অপরের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি ভালোবাসেন। বার্গার ক্রেভিংস থেকে পেস্ট্রি খাওয়া মিমির সব আবদার মিটিয়ে থাকেন অনিন্দ্য। এমনকী মিমি বা অনিন্দ্যর পোষ্যরা অসুস্থ হলে একে-অপরের পাশে এসে দাঁড়ান তাঁরা। বর্ষবরণের রাতেও অনিন্দ্য ও মিমিকে দেখা গিয়েছিল ঘরোয়া পার্টি উপভোগ করতে। সবকিছু মিলিয়ে মিমি ও অনিন্দ্যর মধ্যে কিছু যে একটা পাকছে এটা সকলেই নিশ্চিত। সেটা বন্ধুত্বের গভীরতা নাকি অন্যকিছু তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।