টলিপাড়ার চর্চিত দম্পতি কাঞ্চন-শ্রীময়ী। সদ্য বিয়ে হয়েছে তাঁদের। আর বিয়ের পর এটাই প্রথম জামাইষষ্ঠী। শাশুড়ি মা ভেবেছিলেন সকাল থেকেই জামাই সেজে কঞ্চন আসবে আর তাঁকে আদরৃযত্ন করার কোনও ত্রুটি রাখবেন না শ্রীময়ীর মা। কিন্তু বাধ সাধল কাঞ্চনের কাজ। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই-এর শ্যুটিং শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। আর সেই শ্যুটিং থেকে ছুটি পাইনি কাঞ্চন। তাহলে কি এই বছরের জামাইষষ্ঠী মিস গেল বিধায়ক-অভিনেতার? আক্ষেপের সুরেই bangla.aajtak.in-কে সবটা জানালেন কাঞ্চন-পত্নী শ্রীময়ী।
শ্রীময়ী বলেন, 'আরে, আমি তো ভীষণই আপসেট। কাঞ্চনের তো নতুন ছবির শ্যুটিং শুরু হয়েছে, সৃজিতদার সঙ্গে ছবি করছে আর কাঞ্চনের তো প্রতিদিন শ্যুটিং। আর আজকে জামাইষষ্ঠীতে মায়ের বাড়ি যেতে যেতেই রাত হয়ে যাবে বলেছে। তারপর সবকিছু হবে। কিন্তু সবাই তো সকাল থেকে গিয়ে দুপুরে জামাইষষ্ঠী করে।' কী কী হচ্ছে জামাইষষ্ঠীতে? শ্রীময়ী বলেন, 'মা যেরকম প্রতিবছর করে থাকে দিদি-জামাইবাবুর জন্য। আমাদের ষষ্ঠী পুজো হয়, ফলন্ত গাছ দিয়ে পুজো হয়, এরপর হলুদ সুতো বাঁধে। মা সেদিন পুরোদিন নিরামিষ খেয়ে থাকে। কাঞ্চনকে প্রথমে ওই গোটা ফল আর ফলাহারটা দিতে হবে, যতটা পারবে খাবে, পুরোটা তো খেতে পারবে না। এইদিন একসঙ্গেই যাওয়ার নিয়ম। কিন্তু এগুলো সবই সকালের নিয়ম, কিন্তু কাঞ্চন তো বেড়িয়ে গিয়েছে ভোর সাড়ে ছটায়। এবার জানি না, কাঞ্চন কখন আসবে, প্যাক আপ কখন হবে। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন সবই হয়েছে। কাঞ্চনই মাকে বলেছে মাছ করতে, মাটন করতে, ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, ভাজা এগুলিই করবে। রাতে এসে খাওয়া-দাওয়া হবে।'
শাশুড়ি মাকে কী উপহার দিলেন কাঞ্চন? অনুযোগের সুরে শ্রীময়ী বলেন, 'কাঞ্চন একেবারেই উপহার কিনতে পারে না, তাই মাকে টাকা দিয়ে বলেছে পছন্দের কিছু কিনে নিতে। আর মা কাঞ্চনকে পয়লা বৈশাখের আগে আগেই জামাইষষ্ঠীর জন্য ধুতি-পাঞ্জাবী কিনে দিয়েছে। আর আমাকে শাড়ি দিয়েছে। কিন্তু কাঞ্চন বলেছে যা গরম পড়েছে তাতে হয়ত শ্যুটিং থেকে শার্ট-প্যান্ট পরেই চলে আসবে। আর তাহলে আমি সালোয়ার বা কোনও ফ্রক পরে চলে যাব।'
শ্রীময়ী বলেন, প্রথম বছর তাই মা বলেছে জোড়ায় আসতে। নয়তো আমি সকাল থেকেই যাব ভেবেছিলাম। প্রথম জামাইষষ্ঠী নিয়ে ভীষণভাবে উৎসাহিত কাঞ্চন। মা প্রতি বছর নিরামিষ রান্নাই করে, আমিষটা করেই না, যেহেতু মায়ের উপোস থাকে। কিন্তু শাশুড়ি মার কাছে কাঞ্চন আবাদার করেছিল আপনাদের বাড়ির ছোট জামাইকে রেঁধে খাওয়াবেন না। মা প্রথমে বলেছিল চিংড়ি মাছের মালাইকারি করবে, কিন্তু পরে কাঞ্চনই না করে দেয় এই গরমের শরীর খারাপ করবে বলে, এখন তো শ্যুটিং চলছে তাই। বলেছে হালকা করে রাঁধবেন। মা তো বলেছিল যদি সকাল থেকে হত তাহলে সকালে একরকম পদ হত আর রাতে লুচি, আলুর দম, পনির থাকত। কিন্তু কাঞ্চনের তো সময় হবে না, তাই মায়ের একটু মন খারাপ। এরপর মজার ছলেই শ্রীময়ী বলেন, তবে সকালের জামাইষষ্ঠীর লুচিটা পরের দিন জলখাবারে খেয়ে শ্যুটিংয়ে যাবে মনে হয় কাঞ্চন।'