একবছর হল অভিষেক চট্টোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন। সেই বছর দুর্গাপুজোর সময়টা স্ত্রী সংযুক্তা মেয়েকে নিয়ে দক্ষিণ ভারতে চলে গিয়েছিলেন। তবে এই বছর বাড়ির দুর্গাপুজো হবে। অভিষেককে ছাড়াই একা পুজোর সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্ত্রী সংযুক্তা। ইতিমধ্যেই ঠাকুরের বায়না দেওয়াও হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিষেকের অবর্তমানে এটাই প্রথম দুর্গাপুজো।
২০২২ সালের ২৪ মার্চ আচমকাই মৃত্যু হয় অভিষেকের। তাই গতবছর দুর্গাপুজোর কথা ভাবতেও পারেননি স্ত্রী সংযুক্তা। কিন্তু গত বছর পুজো বন্ধ থাকলেও এ বছর জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন অভিষেক-জায়া। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন যে এই সবকিছুর আয়োজন করার পিছনে তাঁকে শক্তি জোগাচ্ছেন অভিষেকই। এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো হয়েছে ধুমধাম করেই।
দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা জানান যে ফেসবুকে একটি মেয়েকে তিনি সুন্দর সুন্দর সব মূর্তির ছবি পোস্ট করতে দেখেছিলেন। সেখান থেকেই জানতে পারেন যে মেয়েটির বাবা এই সব মূর্তি তৈরি করেন। দুর্গা প্রতিমার বায়নাও তাঁকে দেওয়া হয়েছে। শপিং প্রায় শেষ। নিজের ও মায়ের জন্য শাড়ি কিনেছেন সংযুক্তা। আর মেয়েকে বেশ কিছু লহেঙ্গা চোলি কিনে দিয়েছেন। সংযুক্তার কথায়, তাঁর পাশে সর্বদাই অভি রয়েছেন তিনি সেটা জানেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর অভিষেক ঠিক করেছিলেন যে পুজোর সময় কেরল যাবেন। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। যদিও পুজোতে মেয়েকে নিয়ে সংযুক্তা দক্ষিণ ভারতেই কাটিয়েছেন। এই বছর অভিষেক ছাড়াই পুজোর আয়োজন করছেন তিনি। যে কোনও কাজ করার আগে অভিষেককেই স্মরণ করেন সংযুক্তা। মেয়েকে ভাল করে মানুষ করাই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। তবে পরবর্তীকালে অভিষেকের মেয়ে সাইনারও ইচ্ছা বাবার মতো বড় পর্দায় অভিনয় করা। আপাতত যদিও সে মন দিয়েছে পড়াশোনায়।