না ফেরার 'দ্যাশে' চলে গেলেন সংগীত শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। শনিবার দুপুর ১১ টা ৫৫ নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দুপুরে গায়কের মেয়ে সংগীতশিল্পী অর্পিতা চক্রবর্তী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাবার মৃত্যু সংবাদ দিয়ে লেখেন 'শেষ'।
'লাল পাহাড়ির দ্যাশে যা, রাঙামাটির দ্যাশে যা'– এই গান শোনেননি বাংলায় এমন মানুষ কমই আছেন! এই গানের লেখক-সুরকার নাম অবশ্য অনেকেই জানেন না। তিনি হলেন বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র লোকসংগীত শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী। অন্তরালে থেকেই সুরের সাধনা করে গিয়েছেনব তিনি। শনিবার শেষ হল সেই সুরেলা সফর। শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে লোকসংগীত জগতে।
গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী। বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া বাঁকুড়ায়। বহু সম্মান পেয়েছেন সুভাষ। মাটির গান বাঁধতেন তিনি। 'বাঁকুড়ার মাটিকে পেন্নাম করি দিনে দুপুরে…' গানটি পেয়েছিল তুমুল জনপ্রিয়তা। জীবনের শেষ গানও বাঁকুড়াকে নিয়েই। হাসপাতালে ভর্তির দিনকয়েক আগেই নিজের লেখা ও সুরে রেকর্ড করেন 'বাঁকড়ি দেশের মানুষ আমি গাইবো ঝুমুর গান'। তাঁর গানেই ধরা দিত শাল-পলাশের বাঁকুড়া।
সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন,'বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা সুভাষবাবু ঐতিহ্যময় লোকসঙ্গীতকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে সংগীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি ওঁর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
আরও পড়ুন- জন্মদিনে বৃন্দাবনে সৌমিতৃষা, বসন্তে কৃষ্ণবেশে চমক মিঠাইয়ের