মুম্বই, ৬ অক্টোবর : পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে রয়েছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। কেরিয়ারের দিনগুলি কেমন ছিল, সেকথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আবেগপ্রবণ জাভেদ আখতার। ট্যুইট করে তিনি লেখেন, " ১৯৬৪ সালের ৪ অক্টোবর আমি বোম্বেতে আসি। এই ৫৬ বছরে বহু ব্যাকা- ত্যারা, চড়াই উতরাই, উঁচু নিচু সফর থাকলেও সব মিলিয়ে সবকিছু আমার ফরেই হয়েছে। ধন্যবাদ মুম্বই, ধন্যবাদ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, ধন্যবাদ জীবন। তোমরা সকলেই আমার সঙ্গে অনেক উদার ছিলে।"
তিনি একাধারে একজন সফল কবি, গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার ও ভারতীয় রাজনৈতিক কর্মী। আন্দাজ ছবির চিত্রনাট্য লেখা দিয়ে বলিউডে হাতে খড়ি। এরপর একের পর এক বক্স অফিস হিট করা কাজ। হাতি মেরে সাথী, সীতা অউর গীতা, ইয়াদো কি বারাত, ডন, দিওয়ার, শোলে, মিস্টার ইন্ডিয়া ও আরো অন্যান্য। পাঁচ বার জাতীয় পুরস্কার ও তেরো বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও ঝুলিতে রয়েছে আরো একাধিক পুরস্কার।
সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে জাভেদ আখতারকে বারবরই প্রতিবাদ করতে ও সরব হতে দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি বলিউডের মাদক যোগের ঘটনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ফারহান আখতার কিংবা জোয়া আখতার যদি গাঁজার নেশা করতেন, তাহলে তাদের তিনি কী বলতেন! উত্তরে তিনি জানান, ফারহান বা জোয়া যদি গাঁজার নেশা করতেন, তাহলে তাঁদের না করতেন তিনি। নেশা শরীরের জন্য ভাল নয়। তাই না করতেন সন্তানদের। বাবার কথা যদি ফারহান বা জোয়া শুনতেন, তাহলে ভাল কথা। না শুনলে ভাবতেন, ওরা বড় হয়েছে, তাই যেটা ভাল বুঝবেন তাই করবেন। এইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, গাঁজা কিংবা অন্য নেশার দ্রব্য প্রায়শই বিভিন্ন কলেজ ও অন্যান্য জায়গার বাইরে দেখতে পাওয়া যায়। এগুলি ভীষণ সাধারণ বিষয় বর্তমান সমাজে। তবে গাঁজার নেশা করে কেউ কখনও কাউকে খুন করেছেন বলে তিনি শোনেনি।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর প্রথম বাড়ির বাইরে পা রেখে আখতার বাড়িতেই হাজির হয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। ফারহান আখতারের বান্ধবী শিবানী দান্ডেকরের সঙ্গে সেখানে যান রিয়া। এই নিয়ে পরে প্রশ্ন তোলেন কঙ্গনা রানাউত। যা নিয়ে চলতে থাকে নানা রকম আলোচনা।
অন্যদিকে সম্প্রতি বলিউডে মাদক যোগের প্রসঙ্গে আবারও উঠে আসে একবছর আগে করণ জোহরের হাউস পার্টির ভিডিয়ো। ভিডিওটি ফের ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই প্রসঙ্গেই ট্যুইট করে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ এই প্রবীণ শিল্পীর। তাঁর মতে বিতর্কিত কৃষি বিলের মতো বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সব মিডিয়া এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এক বছর আগে করণ জোহরের পার্টিতে নিয়ে। তিনি লেখেন, "করণ জোহর যদি তাঁর পার্টিতে কয়েক জন কৃষককে আমন্ত্রণ জানাতেন, তাহলে টিভি চ্যানেলগুলির কাজ খানিকটা হলেও সহজ হয়ে যেত। তাঁদের কৃষক আন্দোলন এবং করণের পার্টির মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নিতে হত না। এখন তো দেখে মনে হচ্ছে করণের বাড়ির পার্টিই সব চ্যানেলের কাছে বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে।"