'কারার ওই লৌহকপাট'-বিতর্কে অবশেষে মুখ খুলল 'পিপ্পা' ছবির নির্মাতারা। এ আর রহমানের কম্পোজ করা 'কারার ওই লৌহকপাট' গান নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বাসিন্দাদের একাংশ রহমানকে তুলোধনা করেন। 'কোন সাহসে গানের সুর বদলালেন রহমান? কেন এত স্পর্ধা?' এই প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ। বিতর্কের মধ্যেই বিবৃতি জারি করল 'রয় কাপুর ফিল্মস'। তারাই এই ছবির নির্মাতা।
তাদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে লেখা, 'কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর গানের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। গান শুধু নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নজরুল ইসলামের যে অবদান আছে তা অনস্বীকার্য। আমরা গানটি করানোর উদ্দেশ্যই হল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, তাতে যোগ দেওয়া মানুষের অবদানকে মনে করানো।'
একই সঙ্গে বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কল্যাণী কাজী ও কাজী অনির্বাণের থেকে যাবতীয় নিয়ম মেনে এই গানের স্বত্ব নেওয়া হয়েছিল। সেই মোতাবেকই গানটি করা হয়েছে। নজরুল ইসলামের পরিবারের থেকে স্বত্ব নেওয়ার পর শিল্পের খাতিরে গানটিকে তৈরি করা হয়েছে।
তারপরই এই গান নিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে ছবির নির্মাতাদের তরফে। বিবৃতিতে উল্লেখ, 'আমরা সাধারণ মানুষ ও দর্শকদের ভাবাবেগ বুঝি। তাঁরা হয়তো গানের অরিজিনাল সুরের সঙ্গে একাত্ম বোঝ করেন। যদি আমাদের গান কাউকে কষ্ট দেয়, ভাবাবেগকে আঘাত করে তবে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।'
ছবির নির্মাতারা ক্ষমা চাইলেও এখনও এ আর রহমানের তরফে কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি। তিনি ক্ষমাও চাননি। অথচ 'কারার ওই লৌহকপাট' রিলিজ করার পর সবথেকে বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হয় রহমানকেই। নেটিজেনরা বাছা বাছা বিশেষণে তাঁকে বিদ্ধ করেন।
নেটিজেনদের বেশিরভাগজনই মনে করছেন, গানটি না বুঝেই তাতে সুর দিয়েছেন রহমান। এর ফলে রক্ত গরম করা কারার ওই লৌহকপাট রোমান্টিক গানে পরিণত হয়েছে। যা কাম্য নয়। একজন কমেন্টে লিখেছেন, 'ছি, এইভাবে আঘাত করলেন বাঙালির আবেগকে!!ছি, এইভাবে ধ্বংস করলেন বাঙালির সৃষ্টিকে??!!ধিক্কার, হোক প্রতিবাদ। অবিলম্বে ক্ষমা চান।' আর একজন লিখেছেন, 'সাহস হয় কী করে এই ধরনের গান কে এভাবে নিম্নমানের রুপ দিতে। চরম অস্পর্ধা দেখানো একেই বলে। বাঙ্গালী হিসেবে এই জঘন্যতম কাজের জন্য প্রতিবাদ করে গেলাম।'