NOTIFICATIONS
20th Sep
ফিটনেস থেকে দূরেই থাকেন সৌমিতৃষা 
বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির দারুণ জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী হলেন সৌমিতৃষা কুন্ডু। মিঠাই সিরিয়াল দিয়ে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। যেমন মিষ্টি তার চেহারা, তেমনই দুর্দান্ত অভিনয়। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত, তার সৌন্দর্য মোহিত করবে সকলকে। সবার আগে নজর কাড়ে তার একরাশ ঢেউ খেলানো চুল। অনেকেই মিঠাই তথা সৌমিতৃষাকে প্রশ্ন করেছেন যে তিনি তাঁর এই চুলের যত্ন কীভাবে নেন। জানলে অবাক হবেন যে মিঠাই পার্লার বা স্যাঁলো কোনওটাতেই যান না। নিজের যত্ন বাড়িতেই করে থাকেন তিনি।
বাংলা সিরিয়াল থেকে কেরিয়ার শুরু করে এখন টলিউড নায়িকা হতে চলেছেন সৌমিতৃষা। অনেকেই ভাবেন টলিউড নায়িকারা পার্লারে অনেক টাকা খরচ করে নিজেদের সুন্দর করে তোলেন। কিন্তু লম্বা চুল হোক বা উজ্জ্বল ত্বক, কোনও কিছুর জন্যই কিন্তু পার্লার ট্রিটমেন্ট নেন না সৌমিতৃষা। বাড়িতে থেকেই তিনি চুল ও ত্বকের যত্নে কী কী করেন জানেন?
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের বিউটি সিক্রেট ফাঁস করলেন অভিনেত্রী। ছোটপর্দা কেরিয়ার শুরু করলেও এখন টলিউডেও নিজের পা জামাতে চলেছেন অভিনেত্রী। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকেই তিনি নিজেকে মেইনটেইন করেন। তাই লম্বা চুল দেখে অনেকেই প্রথম প্রথম ভাবতেন এটা তাঁর পরচুলা। কিন্তু এটা তাঁর নিজের চুল। তিনি কিন্তু চুলের যত্নে তেমন কিছুই করেন না। খুবই সাধারণ একটি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন শুধু।
সৌমিতৃষা জানিয়েছেন যে, আগে শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততার জন্য চুলে তেল লাগানো হত না। কিন্তু এখন যেহেতু বাড়িতে রয়েছেন তাই একটু অয়েল ম্যাসাজ করেন চুলে। ব্যাস। আজ পর্যন্ত কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কিংবা পার্লার ট্রিটমেন্ট, কোনও কিছুই তিনি করেননি। কারণ পার্লারে সবাই যেখানে শ্যাম্পু করে সেখানে মাথা রেখে তিনি শ্যাম্পু করতে পারেন না। অভিনেত্রী মনে করেন স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া-দাওয়া, ফল ও জল পান করা, মদ ও সিগারেট এড়িয়ে চলা, এই সাধারণ কিছু কাজ করলেই আর পার্লার যেতে হয় না।
তবে সৌমিতৃষার এখন একটাই আক্ষেপ তিনি বাড়িতে থেকে মোটা হয়ে যাচ্ছেন। কাজের মধ্যে থাকলে তার শরীর ঠিক থাকে। সৌমিতৃষা ভোজনরসিক মানুষ। বাড়িতে থেকে দিনে ৩-৪ বার লস্যি, আইসক্রিম, ডায়েট কোক খেয়ে তিনি মোটা হয়ে যাচ্ছেন আরও। আসলে মিঠাই রানি তথা সৌমিতৃষা খেতে ভালবাসেন। তাই ডায়েট সেভাবে করেন না। এমনকী জিমেও যেতে পছন্দ করেন না সৌমিতৃষা। স্বাস্থ্যকর খাবারের চেয়ে তিনি ফাস্টফুড খেতেই বেশি ভালোবাসেন।
