গত বছরের জুলাই মাসে বিয়ে করেন টেলিপর্দার জনপ্রিয় মুখ শ্রুতি দাস ও পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। আইনি বিয়েই করেন বেশ ঘটা করে। এখন স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকছেন তাঁরা। সিরিয়াল করতে গিয়েই শ্রুতি প্রেমে পড়েন পরিচালক স্বর্ণেন্দুর। তারপর বছর চারেক জমিয়ে প্রেম করার পর বিয়ে করেন গত বছরে। আর বিয়ের পর প্রথম জুটিতে দিদি নম্বর ১-এ এলেন শ্রুতি। আর এখানে এসেই জানালেন স্বর্ণেন্দু চেয়ে তিনি ঠিক কত বছরের ছোট।
এর আগে শ্রুতি বেশ কিছুবার দিদি নম্বর ১-এ এসেছিলেন তবে সেই সময় একা। তখনই জানিয়েছিলেন স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে প্রেম এবং তা নিয়ে কতটা সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হচ্ছে। কারণ স্বর্ণেন্দুর চেয়ে বয়সে অনেকটাই ছোট শ্রুতি। এইবার রচনা স্বর্ণেন্দুকে সামনে পেয়ে প্রশ্ন করেন, বউ হিসাবে শ্রুতি কেমন? আর তাতে স্বর্ণেন্দুর জবাব ছোট। আমি ওকে বলি বাচ্চা বউ। ছেলেমানুষি এখনও যায়নি। সমস্যা, সফলতা একসঙ্গে কাটাতে কাটাতে মানুষ যেমন অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে, আমি বলি ওরও সবই হবে ধীরে ধীরে। একসঙ্গে থাকতে থাকতে আমরা একে-অপরকে শেখাই। ও যেমন আমাকে শিখিয়েছে সেভিংস-এর গুরুত্ব। আমি যেমন এতদিন ভাবতাম, যা আছে খরচা করে নাও। কাল কে দেখেছে। তবে ও এখন আমাকে শিখিয়েছে, কালকের জন্য ভাবতে হয়। এমার্জেন্সির জন্য।
প্রসঙ্গত, শ্রুতি স্বর্ণেন্দুর চেয়ে ১৪ বছরের ছোট। তবে সেটা কোনওদিনই তাঁদের ভালোবাসার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। যদিও প্রথমদিকে শ্রুতির এই সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিলেন তাঁর মা। তবে এখন সব কিছুই ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে। জামাই স্বর্ণেন্দুকে প্রথম জামাইষষ্ঠীও খাওয়ালেন শ্রুতির মা। শ্রুতিকে রচনা তাঁর স্বামীর কোনও বাতিক আছে কিনা জিজ্ঞাসা করায় শ্রুতি বলেন যে কুসংস্কার রয়েছে। এটা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে স্বর্ণেন্দু জানান যে যদি তিনি কোনও জামা পরে বেরোন আর তারপর দেখা গেল সারাদিন খুব খারাপ কাটল, ওই জামা আর কখনো স্বর্ণেন্দু পরবেন না। এছাড়াও বেশ কিছু জিনিস বিশ্বাস করেন স্বর্ণেন্দু।
কদিন আগে প্রথম জামাইষষ্ঠী খাবার ছবি-ভিডিয়োও শেয়ার করে নিয়েছিলেন শ্রুতি। অভিনেত্রীর মা-বাবা জামাইকে খাইয়েছিল বিরিয়ানি। অন্য দিকে, স্বর্ণেন্দুর মা অবশ্য দিয়েছিলেন বউমা ষষ্ঠী। নতুন বস্ত্র, আশীর্বাদ, পাখার হাওয়া, হাতে হলুদ সুতো বাঁধা, সব নিয়ম মেনে বউমার জন্য পালন করেছিলেন ষষ্ঠীর পুজো।