রবিবার দাদাগিরির তারকা স্পেশাল এপিসোডে এসেছিলেন টলিউডের কিছু নামী মুখ। ছিলেন মধুমিতা সরকার, পায়েল সরকার, অন্বেষা হাজরা, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, গীতশ্রী রায়রা। আর সেখানেই ফাঁস হয়ে গেল দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কতটা কুল বাবা। প্রসঙ্গত, দাদাগিরি-তে প্রায়ই তারকাদের সিক্রেট ফাঁস হয়ে থাকে। আর এই পর্বেও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেখানে সৌরভের সামনে নিজেকে ‘সিঙ্গেল’ বলেই দাবি করলেন পায়েল।
দাদাগিরি-তে এসে পায়েল বলেন, ‘এই যে তোমায় বললাম না আমার মি টাইম পছন্দ, কেন সেটা বলি। বাড়িতে থাকলে আমি নিজের জন্য খুব কম সময় পাই। আমার বাড়িতে দুজন আছে, যাদের ট্যানট্রাম বাচ্চাদের মতো।’ এরপরই পায়েল জানান যে তিনি কেন এতদিন সিঙ্গেল। তবে এক্ষেত্রে অভিনেত্রী তাঁর মা-বাবাকেই দায়ী করেছেন। দাদাকে পায়েল বলেন, অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে কেন আমি সিঙ্গেল অ্যান্ড অল দ্যাট। যে কোনও বাঙালি পরিবারে, মেয়ের বাবা-মায়ের এতটা পজেসিভ! আমার জন্য সঠিক মানুষ পাওয়া ছেড়ে দাও। ওদের জন্য সঠিক মানুষ পাচ্ছি না। এই কারণে আমি সিঙ্গেল। আমি জানি, তুমি নিজে এটার সঙ্গে রিলেট করতে পারবে। ভাবো একবার সানার প্রেমিক হয়েছে, আর তোমার সামনে এসে বলছে, আমি ওকে ভালোবাসি। তোমার গোটা দুনিয়াটাই তো ওপর-নীচ হয়ে যাবে।
তবে পায়েলের এই কথার সঙ্গে একেবারেই সহমত হতে পারলেন না সৌরভ। দাদা বলেন, একদমই তা নয়। আমারও দশটা প্রশ্ন থাকবে। তবে আমার দুনিয়াটা বদলে যাবে না। দাদার মুখে এই উত্তর শুনে পায়েল কিছুটা অবাকই হন। এরপরই পায়েল বলেন, তাহলে সানা খুব লাকি। সৌরভের ফের প্রশ্ন, বাবা পাত্র এলে কী প্রশ্ন করে? নিশ্চয়ই এতদিনে কোনও না কোনও পাত্রকে বাবার সামনে নিয়ে গিয়েছ…। তাতে পায়েল বলেন, পাত্র আনতে হয় না। আমি হয়তো টপিকটা শুরু করেছি। একটু পটাব বলে। মাকে হয়তো বুঝিয়েও দিলাম বাবার সামনে গিয়ে কী বলতে হবে। ও মা, মা বাবার সামনে গিয়ে উলটে যায়। আর বাবা তো সহমত হবে না, জানিই। এই কারণেই আমার আর প্রেম-বিয়ে হয়ে উঠছে না।’
পায়েলের সম্পর্ক নিয়ে টলিউডে কম চর্চা হয়নি। কখনও রাজ চক্রবর্তী আবার কখনও বা পরিচালক আবির সেনগুপ্তর সঙ্গে প্রেম। কিন্তু কোনওটাই টেকেনি। তবে তারপর থেকে আর কোনও সম্পর্কের কথা শোনা যায়নি পায়েলের। এখন পুরোটাই কেরিয়ারের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।