কলকাতায় ঝটিকা সফরে ঘুরে গেলেন রকস্টার পরিচালক ইমতিয়াজ আলি। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে ইদা আলি। তিনি কী কারণে ঠিক কলকাতায় এসেছিলেন সেই বিষয়টা স্পষ্ট না হলেও কলকাতায় এসে তিনি কী খেলেন সেটার ঝলক পরিচালক নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে তুলে ধরেছেন। বলিউড পরিচালকের এই আচরণ রীতিমতো মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদের।
কলকাতায় এসে একেবারে শহরের মাটির সঙ্গে মিশে গেলেন বলিউড পরিচালক। খেলেন মাটির ভাঁড়ে চা। আর ফুটপাতে বসে শহরের জনপ্রিয় কচুরি-আলুরদম। শহর কলকাতায় মেয়ে ইদাকে সঙ্গে নিয়ে এলেন ইমতিয়াজ। গুমটি দোকানে বসে একদম সাধারণ ভাবে বসে খাবার খেলেন বাবা-মেয়ে। শুধু তাই নয়, কলকাতার এই ভীষণ অসাধারণ খাবারের প্রশংসা করতেও ভুললেন না তিনি। কী লিখলেন ইমতিয়াজ? কলকাতায় সেরা খাবার খাওয়ার জায়গা গুলো ঠিক এমন হয়। শ্রেষ্ঠ আলু পুরি, এবং চা… মাত্র ৫৪ টাকা! ভাবা যায়?
আলু পুরি ও চা কত টাকায় খেয়েছেন সেটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি পরিচালক। এই খাবার খেয়েই তৃপ্ত পরিচালক বাবা ও তাঁর মেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়া যে ছবি পরিচালক শেয়ার করেছেন, সেখানে তার শহরের প্রতি মুগ্ধতা স্পষ্ট। পরিচালককে এভাবে, দেখে যেন ভাবতেও পারছেন না অনেকে!চাইলেই যেকোনও পাঁচতারা হোটেলের রেস্তোরাঁয় বসে সেলিব্রিটি কায়দায় 'ইংলিশ ব্রেকফাস্ট করতে পারতেন পরিচালক। কিন্তু সিনেমার পাশাপাশি জীবনের ছকও ভাঙলেন। তারকাসুলভ আচরণ ভুলে নেমে এলেন মাটির কাছাকাছি।
তবে বলিউড পরিচালকের এই আচরণ দারুণভাবে মুগ্ধ করেছে শহরবাসীকে। অনেকেই তাঁর পোস্টে গিয়ে বাহবা জানিয়েছেন। রকস্টার, হ্যারি মেট সেজল, লাভ আজ কল-এর মত ছবির পরিচালক কিনা এতটা সাদামাটা? ভাবতেই পারছেন না নেটিজেনরা। এতবড় মাপের পরিচালক সে কিনা গুমটি ঘরে বসে কচুরি-আলুরদম খাচ্ছেন সত্যিই তা অভাবনীয়।
কিন্তু হঠাৎ কেন কলকাতায় এলেন ইমতিয়াজ? বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নতুন সিনেমার জন্য রেইকি করতেই বাংলায় আসা। মেয়ে ইদা আলিও খুব কম বয়সে অভিনয় জগতে ডেবিউ করে ফেলেছেন। তাই তাঁর থেকে ভালো সঙ্গী ইমতিয়াজের জন্য আর কে হতে পারে। আপাতত পরিচালক কলকাতা নিয়ে তাঁর মনে কি চিত্রনাট্য সাজাচ্ছেন, তা জানতেই অপেক্ষা করতে হবে দর্শকদের।